মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের সর্ববৃহৎ নবীনবরণ ও সাংস্কৃতিক উৎসব

মালয়েশিয়ায় অধ্যয়নরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের নিয়ে নবীনবরণ ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আশরাফুল মামুন, মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের সর্ববৃহৎ নবীনবরণ ও সাংস্কৃতিক উৎসব
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের সর্ববৃহৎ নবীনবরণ ও সাংস্কৃতিক উৎসব |নয়া দিগন্ত

মালয়েশিয়ায় অধ্যয়নরত ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের নিয়ে নবীনবরণ ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুয়ালালামপুরের জি-টাওয়ার হলরুমে এ আয়োজন করে বাংলাদেশী স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন মালয়েশিয়া (বিএসওএম)।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসওএম সভাপতি আসাদুল্লাহ আল গালীব রাব্বি এবং পরিচালনা ও সঞ্চালনা করেন ভাইস প্রেসিডেন্ট আসিফ রহমান, আদিবা আহমেদ ও সাবরিনা সূচনা।

নবীনবরণে প্রধান অতিথি ছিলেন বাইনারি ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার ডিন প্রফেসর আসিফ মাহবুব করিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএসওএম উপদেষ্টা ডা: মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, বিএসওএম শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব ও সাংস্কৃতিক দক্ষতা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ডা: জাহাঙ্গীর আলম, সিআইপি রুহুল আমিন, বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী জসিম উদ্দিন, ডা: মোহাম্মদ আবদুল মাবুদ, সংগঠনের সাবেক সভাপতি ও উপদেষ্টা মো: আল আমিন সরকার ও আহমেদ রেজা।

অনুষ্ঠান সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করেন আবদুর রহমান শাফি, তোপাজ্জল হোসাইন, মেহেদী হাসান, সালমা আক্তার, শহিদুল ইসলাম পিন্টু, আইসা সিদ্দিকা, ফরিহা মেহেজাবিন, সজিব, ইমরান হোসেন, সাব্বির আহমেদ, তাজবিদ আহমেদ, সুমাইয়া আক্তার, সূচনা রহমান, নুরে আলম শুভ, রাকিবুল হারিস, সাওন আহমেদ, শরীয়তুল্লাহ ও মেহেদি রিয়াজ।

প্রায় ৪০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা বাংলাদেশী এবং বিদেশী শিক্ষার্থী অনুষ্ঠানে অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক, স্টুডেন্ট রিপ্রেজেন্ট কাউন্সিল, প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটি ও বিদেশী অতিথিরা। প্রায় চার শতাধিক মানুষের অংশগ্রহণে আয়োজনটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

অনুষ্ঠানে গান, কবিতা, নাচ, ম্যাজিক শোসহ বিভিন্ন পরিবেশনা দর্শকদের মুগ্ধ করে। দেশীয় খাবারের স্টলও ছিল, যা প্রবাসী শিক্ষার্থীদের কাছে বিশেষ আকর্ষণ তৈরি করে।

সভাপতি আসাদুল্লাহ আল গালীব রাব্বি বলেন, ‘বিএসওএম শুধু একটি সংগঠন নয়, এটি প্রবাসে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি পরিবার। আমরা চাই, মালয়েশিয়ায় থাকা প্রতিটি বাংলাদেশী শিক্ষার্থী অনুভব করুক বিএসওএম সবসময় তাদের পাশে আছে।পাশাপাশি এ আয়োজন শিক্ষার্থীদের জন্য শুধু বিনোদন নয়, বরং নেটওয়ার্কিং ও পারস্পরিক সম্পর্ক মজবুত করার একটি বড় প্ল্যাটফর্ম।