মঙ্গলবার (১ জুলাই) থেকে সৈকত, পার্ক, বাসস্টপ, স্কুলের আশপাশসহ শিশুদের উপস্থিতি থাকতে পারে এমন প্রায় সব উন্মুক্ত স্থানে ধূমপান নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ফ্রান্স সরকার। এ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো শিশুদের প্যাসিভ স্মোকিং থেকে রক্ষা করা এবং ২০৩২ সালের মধ্যে ‘ধূমপানমুক্ত প্রজন্ম’ গড়ে তোলা।
যে সকল স্থানে ধূমপান নিষিদ্ধ
সমুদ্র সৈকত, পার্ক, পাবলিক গার্ডেন, বাসস্টপ, স্কুল, লাইব্রেরি, সুইমিং পুল ও স্পোর্টস ভেন্যুর আশপাশের এলাকা। তবে, ক্যাফে ও বারের বাইরের অংশ (টেরাস) এবং ইলেকট্রনিক সিগারেট এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ছে না।
ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করলে ১৩৫ ইউরো (প্রায় ১৫৩ ডলার) জরিমানা করা হবে।
এ সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য ও প্রেক্ষাপট হলো, ফ্রান্সে প্রতি বছর প্রায় ৭৫,০০০ জন ধূমপানজনিত রোগে মারা যান।
এ নিষেধাজ্ঞা শিশুদের পরিষ্কার বাতাসে শ্বাস নেয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে এবং ধূমপানের স্বাভাবিকীকরণ রোধ করতে নেয়া হয়েছে।
সরকার ২০২৩-২০২৭ সালের জাতীয় অ্যান্টি-টোব্যাকো প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
ধূমপানের বিষয়ে ফরাসি সরকার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হিসেবে ইলেকট্রনিক সিগারেটের নিকোটিন মাত্রা ও ফ্লেভার নিয়ন্ত্রণে নতুন বিধিনিষেধ আরোপের পরিকল্পনা করছে, যাতে তরুণদের মধ্যে ভ্যাপিংয়ের প্রবণতা কমানো যায়।