বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘একটি জাতির মোরালিটি যখন নষ্ট হয়ে যায় তাহলে এগুলো রেখে কাঠামোগত পরিবর্তন করে মূল পরিবর্তন করা যায় না।’
তিনি বলেছেন, ‘সমস্যার সমাধানের একমাত্র পথ রাষ্ট্রের কাঠামো এবং নেতৃত্বের গুণগত পরিবর্তন করতে হবে।’
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামের একটি হলে প্রবাসী ভয়েস ইউকে মিডল্যান্ডসের আয়োজনে বার্মিংহামের একটি কনভেনশন হলে আয়োজিত সুধী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
প্রবাসী ভয়েসের সভাপতি সৈয়দ জামিরুল ইসলাম বাবুর সভাপতিত্বে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মিয়া গোলাম পরওয়ার আরো বলেন, ‘দেশের নেতৃত্বের নৈতিক পরিবর্তন হলে বিমানবন্দরে প্রবাসী হয়রানিসহ সকল সমস্যার অটোমেটিক সমাধান হবে।’
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ রাষ্ট্রের কাঠামোর সকল প্রতিষ্ঠান তছনছ করে দেয়া হয়েছে। দেশপ্রেমিক ইসলামিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে প্রবাসীদের দাবি পেশ করতে হবে না, আমরা এগুলো পূরণ করার সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করব।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘প্রবাসীদের ভোটাধিকার আদায়ে জামায়াত সর্বত্র সর্বোচ্চ ভূমিকা রেখেছে।’
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনামলে জামায়াতকে বহু নির্যাতন সইতে হয়েছে। শীর্ষ নেতৃত্বকে ফাঁসি দিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দেয়া হয়েছে। জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, অফিস বন্ধ করে দেয়া হয়। কিন্ত চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আজ বাংলাদেশের আকাশে নতুন সূর্য উদিত হয়েছে। এটি কেবলই ছিল আল্লাহর করুনা আর সাহায্য।’
সাবেক এমপি গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ছাড়া আখেরাতের সফলতা সম্ভব নয়। আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার মাধ্যমেই আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে চাই।’
আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে দেশের পক্ষে, জাতির পক্ষে, সত্যের পক্ষে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ইসলামের পক্ষে যার যার অবস্থান থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।
মাওলানা সাইফুদ্দিনের পরিচালনায় সমাবেশে স্মারক লিপি পাঠ করেন প্রবাসী ভয়েসের সেক্রেটারি আব্দুস সালাম মোহাম্মদ মাসুম।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কমিউনিটি নেতা ফরিদ মিয়া, মাওলানা লুৎফর রহমান বেলাল, ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ ইসমাঈল, ব্যবসায়ী আব্দুল মালিক পারভেজ, খেলাফত মজলিস নেতা এনামুল হাসান ছাবির, হাবিবুর রহমান , ড. এম এ মতিন, খন্দকার কবির উদ্দিন, তানজিম মাহবুব।