হাতিয়া দ্বীপকে জেলা ঘোষণা এবং নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও প্রস্তাবিত হাতিয়া জেলার সমন্বয়ে নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়নের দাবিতে মালদ্বীপস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনকে মাধ্যম করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে দেশটিতে কর্মরত নোয়াখালী জেলার প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধারা।
সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনে এ স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় তারা বলেন, ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী পুরনো জেলা আমাদের নোয়াখালী। যা বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতির শতকরা ৩৫ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করে। একইসাথে সাত লক্ষাধিক প্রবাসী অধ্যুষিত এ জেলার প্রবাসীদের রেমিট্যান্সে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। তাই ঢাকা থেকে মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরত্বের কুমিল্লায় নয়, ১৬০ কিলোমিটার দূরত্বের স্বয়ংসম্পূর্ণ জেলা নোয়াখালীকেই বিভাগ হিসেবে ঘোষণা ও বাস্তবায়ন চায় আমরা।
তারা আরো বলেন, এ জন্যই আজ আমরা হাইকমিশনে এসেছি, যাতে আমাদের দাবি-দাবাগুলো প্রধান উপদেষ্টা কাছে পৌঁছাতে পারি। কারণ ২৪ সালের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে বলা হয়ে ছিল দেশ থেকে বৈষম্য দূর করবে, কিন্তু এখন সরকার সে পথ থেকে বেরিয়ে এসে বৃহত্তর নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুরের প্রায় এক কোটিরও অধিক মানুষকে বৈষম্যের দিকে ঢেলে দিচ্ছে।
তাদের দাবি, এসব জেলার জনসাধারণকে না বলে কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়নের রূপরেখা বাস্তবায়ন করা সম্পুর্ণ অযৌক্তিক ও আমরা বৈষম্যের শিকার। একইসাথে আমরা খুবই মর্মাহত এবং আমাদের একটাই দাবি নিরাপদ নোয়াখালী বিভাগ চাই।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শ্রম) মো: সোহেল পারভেজ বলেন, ‘নোয়াখালী জেলার প্রবাসী ভাইদের স্মারকলিপি গ্রহণ করেছি। এবং এ স্মারকলিপি বিশেষভাবে বিবেচনার জন্য, আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করব।’
হাইকমিশনে স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন বহির্বিশ্ব সংগ্রাম পরিষদ মালদ্বীপ শাখার সভাপতি আবু আহাম্মদ সেলিম মিয়া। তার নেতৃত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন শমিম রাজ, মো: সোহান, জাহাঙ্গীর আলম, আহাম্মদ আলী, বেলাল হোসেন, নুর ইসলাম প্রমুখ।