মিসরের বিখ্যাত রেডিমেড গার্মেন্টস কোম্পানি থ্রি স্টারসের মালিক বাংলাদেশী ব্যবসায়ী জাকির হোসেনকে পুরস্কৃত করেছে মিসর সরকার। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) মিসরের বন্দরনগরী আলেকজান্দ্রিয়ায় ফ্যাক্টরিতে এসে শ্রমমন্ত্রী মোহাম্মদ জাবরান তার হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন।
এদিন জাকির হোসেন শ্রমমন্ত্রীর মাধ্যমে গোল্ডেন স্টার নামের আরেকটি ফ্যাক্টরি উদ্বোধন করেন। শ্রমমন্ত্রী থ্রি স্টার ও গোল্ডেন স্টার কোম্পানি পরিদর্শন শেষে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন। একইসাথে আন্তর্জাতিক শ্রম আইন মেনেই জাকির হোসেনের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি চলছে বলে সন্তুষ্টিও প্রকাশ করেন।
এই নতুন সেকশনের ফলে প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত শ্রমিকের সংখ্যা বেড়ে ২০০০ জনে পৌঁছিয়েছে। তাদের মধ্যে ১১০ জন ‘দ্বি-ক্ষমতা সম্পন্ন’ (বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন) কর্মী।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শ্রমমন্ত্রী বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির নির্দেশে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন নাগরিকদের কর্মক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া জোরদার করা হচ্ছে। আজ তাদের ১৫ জনকে নতুন নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়েছে।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ, শ্রমিকদের নিরাপত্তা, ন্যায্য মজুরি ও সম্মানজনক কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করাই সরকারের অগ্রাধিকার।’ এই ধরনের উদ্যোগ শ্রমজীবী মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, গোল্ডেন স্টারসের মতো উদ্যোগ শিল্পখাতের অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধির পাশাপাশি সামাজিক অন্তর্ভুক্তিকেও ত্বরান্বিত করবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাকির ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় একটি প্রামাণ্যচিত্রের মাধ্যমে কোম্পানির অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালে ৭৫ জনের একটি গ্রুপ সরকারিভাবে মিসরের গার্মেন্টস সেক্টরে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যায়। তাদের মধ্যে জাকির হোসেন অন্যতম। মিসরের প্রবাসীরা তাদেরকে ৭৫ গ্রুপ হিসেবেই চেনে। আর জাকির হোসেনকে মিসরীয়রা মিস্টার বলে সম্বোধন করে থাকে।
জাকির হোসেনের জন্ম ও বেড়ে ওঠা কুমিল্লায়। তার গ্রামের বাড়ি নামতলা এলাকায়। তার বাবা মরহুম চানমিয়া।