দেড় যুগ পর যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ঈদে মিলাদুন্নবী সা: পালিত

দেড় যুগ পর লন্ডন ও ম্যানচেস্টারের বাংলাদেশ হাইকমিশনে ঈদে মিলাদুন্নবী সা: পালিত হয়েছে। এতে মহানবী সা:-এর জীবন ও দর্শন নিয়ে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

মাহবুব আলী খানশূর, লন্ডন (যুক্তরাজ্য)
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ঈদে মিলাদুন্নবী সা: উপলক্ষে আলোচনা সভা
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ঈদে মিলাদুন্নবী সা: উপলক্ষে আলোচনা সভা |নয়া দিগন্ত

প্রায় দেড় যুগ পর লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনে ঈদে মিলাদুন্নবী সা: পালিত হয়েছে। আওয়ামী শাসনামলে যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ হাইকমিশনের কোনো শাখায় মহানবী হযরত মোহাম্মদ সা:-এর জীবন ও দর্শন নিয়ে কোনো ধরনের আলোচনা হয়নি।

২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের পর এই বছরই প্রথম লন্ডনের হাইকমিশন বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত মহানবী সা:-এর জীবন, দর্শন ও কর্মের ওপর আলোচনা সভার আয়োজন করে গত ৪ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার)। একই দিন ম্যানচেস্টারে বাংলাদেশ হাইকমিশনেও ঈদে মিলাদুন্নবী সা: উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।

লন্ডনে অনুষ্ঠিত সভায় আলোচনা করেন হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম ও প্রেস মিনিস্টার আকবর হোসেন। এছাড়া বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন পাসপোর্ট ও ভিসা উইংয়ের কাউন্সিলর এ জেড এম শরীফ হোসেন। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিনের বাণী পাঠ করেন কমার্শিয়াল কাউন্সেলর তানভীর মোহাম্মদ আজীম ও প্রধান উপদেষ্টার বাণী পাঠ করেন ডিপ্লোমেটিক উইংয়ের কাউন্সেলর মৌমিতা জিনাত।

একই দিনে মহানবী হযরত মোহাম্মদ সা:-এর জীবন ও দর্শনের উপর আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজন করে বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশন ম্যানচেস্টার। সহকারী হাই কমিশনার জোবায়েদ হোসেন ও হেড অব চেন্সেরি আবু সালেহ মো: মুসা, কাউন্সিলর উজ্জ্বল আহমদ ও সবুর আহমেদ মহানবীর জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা করেন।

এতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার বাণী পাঠ করে শুনানো হয়।

উভয় হাইকমিশনে ঈদে মিলাদুন্নবী সা: উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়।

গত দেড় যুগ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন দিবসে ও অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যের তিনটি হাইকমিশন অফিসে শুধু আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দাওয়াত পেত। সে সময় কখনো মহানবী হযরত মোহাম্মদ সা:-এর জীবন ও দর্শনের উপর কোনো অলোচনা সভার আয়োজন করা হয়নি। অথচ প্রতি বছর শেখ মুজিবরের জন্মদিন ও মৃত্যুবার্ষিকী ঘটা করে পালন করা হতো এবং সেসব অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ও আওয়ামীপন্থী সাংবাদিকরা দলবল নিয়ে যোগ দিতেন।