মালয়েশিয়ার পেনাং রাজ্যে চাঞ্চল্যকর ডাবল মার্ডারের ঘটনায় এক বাংলাদেশী নাগরিক সহ তিনজনকে আটক করে প্রত্যেককে সাত দিনের জন্য রিমান্ডে নিয়েছে দেশটির পুলিশ। তবে ওই বাংলাদেশীর নাম পরিচয় প্রকাশ করেনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির জাতীয় গণমাধ্যম সিনার হারিয়ান ও আস্ত্রো আওয়ানি।
পেনাং পুলিশ গত শনিবার কাম্পুং সেকোলা জুরুতে দুই শিশুর হত্যার ঘটনাটি একটি ত্রিভুজ প্রেমের কারণে ঘটেছে বলে যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে তদন্ত কর্মকর্তা।
পেনাং পুলিশ বলছে বরং প্রকৃত অপরাধীকে শনাক্ত করার জন্য বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে তদন্ত করছে। দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার অধীনে তদন্তে সহায়তা করার জন্য ভুক্তভোগীর স্বামী এবং আরো দুইজন পুরুষ-একজন স্থানীয় এবং একজন বাংলাদেশীসহ তিনজনকে রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।
ময়নাতদন্তে দেখা গেছে যে উভয় নিহতের ঘাড়ের পেছনের অংশে কাটা দাগের কারণে মৃত্যু হয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে এটি কসাইয়ের ছুরি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, এবং পুলিশ ঘটনাস্থলের কাছে ঝোপঝাড় থেকে একটি অস্ত্রও পেয়েছে যা ব্যবহার করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজ্য পুলিশ প্রধান দাতুক আজিজি ইসমাইল বলেছেন, ‘প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করার জন্য বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে তদন্ত পরিচালনা করা সম্ভব করার জন্য ভুক্তভোগীর স্বামীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তে ত্রিভুজ প্রেমের অভিযোগের দিকে এগোচ্ছে না যেমনটি প্রচার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ঘটনার প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং দুই শিশু হত্যার মূল উদ্দেশ্য উন্মোচনের জন্য তদন্তও সম্প্রসারিত করা হচ্ছে।’
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে জনসাধারণকে মামলাটি নিয়ে কোনো জল্পনা-কল্পনা না করার জন্য অনুরোধ করে তিনি বলেন, ‘আমি জনসাধারণকে এমন কোনো জল্পনা-কল্পনা না করার বা তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারে এমন অযাচাইকৃত তথ্য ছড়িয়ে না দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।’
গত শনিবার গণমাধ্যম জানিয়েছে যে ৫১ বছর বয়সী সারিয়া চে হিনের লাশ তার স্বামী সন্ধ্যা সাড়ে ৭টাযর দিকে বাড়ির নিচতলার রান্নাঘরে পরেছিল এবং তার মাথা প্রায় বিচ্ছিন্ন ছিল। আর বাড়ির উপরের তলায় রক্তাক্ত অবস্থায় ১১ বছর বয়সী নুর আফরিনা আলিশা আব্দুল রহিমের লাশ পাওয়া গেছে।
এরপর, পুলিশ দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার অধীনে তদন্তে সহায়তা করার জন্য ভিকটিমের ৫৭ বছর বয়সী স্বামীকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছে।
স্থানীয় সন্দেহভাজন, যিনি একজন ব্যবসায়ীও, তার অতীতে মাদক সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি রেকর্ড রয়েছে বলে জানা গেছে।
সংবাদমাধ্যম পূর্বে জানিয়েছে যে ময়নাতদন্তে দেখা গেছে যে দুই শিশুর মৃত্যুর কারণ ধাঁরালো অস্ত্র ব্যবহার করে ঘাড়ের পেছনে কাটা ছিল যা কসাইয়ের ছুরি বলে মনে করা হচ্ছে।



