‘চুসক’ হচ্ছে- আমাদের দেশের নবান্নের মতো দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষের একটি সাংস্কৃতিক উৎসব। সাধারণত গান-বাজনা ইত্যাদির মাধ্যমে সেখানকার বাঙালিরা দিনটি উদযাপন করেন। তবে, এ বছর গান-বাজনার বদলে একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন তারা; চুসক উপলক্ষে আয়োজন করেছেন ‘দাওয়াহ কনফারেন্স ও ইসলামী নাশিদ সন্ধ্যা’র।
আগামী সোমবার (৬ অক্টোবর) দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল শহরে অবস্থিত মসজিদে সিরাতুল মুস্তাকিম আনসানে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আয়োজক আনসান মসজিদ কমিউনিটি।
মসজিদটির ইমাম ও খতিব এবং বাংলাদেশী আলেম মুফতি ফয়জুল্লাহ আমান নয়া দিগন্তকে নিশ্চিত করেছেন, তাদের চুসকের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের কয়েকজন বরেণ্য আলেম ও ইসলামী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
আমন্ত্রিত অতিথিরা হলেন- জাগ্রত কবি আল্লামা মুহিব খান, কুয়াংজু মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ উমায়ের (পাকিস্তান), খাপ্পাই মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারের ইমাম ও খতিব মুফতি আরিফুল ইসলাম এবং আনসান মসজিদের সাবেক ইমাম মুফতি মুমতাজুল হক। আর চুসকের ইসলামী অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করবেন আনসান মসজিদ কমিটির প্রেসিডেন্ট মাওলানা জাহিদ হুসাইন।
অনুষ্ঠানটির পরিচালক ও আনসান মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি ফয়জুল্লাহ আমান বলেছেন, ‘চুসক’র ছুটি শুরু হচ্ছে ৩ অক্টোবর থেকে। ১০ দিনের ছুটি। কোরিয়ার সবচেয়ে বড় উৎসব। বাংলাদেশের নবান্নের মতো একটি উৎসব এটি। এই ছুটিতে আগে বাংলাদেশীরা গান-বাজনার আয়োজন করত। এখন কয়েক বছর ধরে ইসলামী প্রোগ্রামের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। প্রতি বছরই বড় ইসলামিক কনফারেন্স আয়োজন করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, গত বছর আনসান মসজিদে চুসক উপলক্ষে শুধুমাত্র ইন্টারন্যাশনাল দাওয়াহ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ বছর দাওয়াহ কনফারেন্সের সাথে নাশিদ সন্ধ্যা যোগ করা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশে ইসলামের প্রসারে এই ইসলামী অনুষ্ঠান ভূমিকা রাখবে ইনশাল্লাহ।
মুফতি ফয়জুল্লাহ আমান জানান, তাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। শনিবার প্রথমবারের মতো কোরিয়ায় প্রবেশ করবেন কবি মুহিব খান। তিনিসহ সব প্রবাসী বাঙালি তার আগমনের অপেক্ষা করছেন।