মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা ট্যুরিস্ট সেজে দেশটিতে প্রবেশে সহায়তা করা এবং যথাযথ ডকুমেন্টস ছাড়াই বিদেশীদের দেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়ার জন্য একটি পাল্টা-সেটিং সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত থাকা সন্দেহে দেশটির দুর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি) আজ ১৮ জন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তাসহ মোট ২৭ জনকে রিমান্ডে নিয়েছে।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় মালয়েশিয়ার গণমাধ্যম বেরিতা হারিয়ান।
সূত্রমতে, গতকাল অপ রেন্টাসের মাধ্যমে সেলাঙ্গর, মেলাকা, কুয়ালালামপুর এবং নেগেরি সেম্বিলানের আশেপাশে অভিযান চালিয়ে সকল সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ২০ থেকে ৫০ বছর বয়সী ১৯ জন পুরুষ এবং আটজন মহিলা রয়েছেন। অভিযানে মোট ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যার মধ্যে ২৭ জনকে আদালতের নির্দেশে আজ রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
‘অভিযানের পর, এসএসিসি ২০০,০০০ রিঙ্গিতেরও বেশি নগদ, বেশ কিছু গয়না, সোনার বার, গাড়ি, মোটরসাইকেল, হ্যান্ডব্যাগ, ঘড়ি এবং টেলিযোগাযোগ ডিভাইস জব্দ করেছে।
সূত্র জানিয়েছে, এমএসিসি ৩৪টি ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট এবং ১ মিলিয়ন রিঙ্গিতের বেশি মূল্যের ছয়টি কোম্পানির অ্যাকাউন্ট সহ ৪০টি ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে। আজ সকালে শাহ আলম, আয়ার কেরোহ, সেরেমবান এবং কুয়ালালামপুর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এমএসিসি-এর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সকল সন্দেহভাজনকে তিন থেকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
একই রকম ঘটনায় এমএসিসি-এর ডেপুটি চিফ কমিশনার (অপারেশনস), দাতুক আহমেদ খুসাইরি ইয়াহায়া সকল সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং এমএসিসি আইন ২০০৯-এর ধারা ১৬ এবং ১৭ অনুসারে মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন।
তাদের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ যে সমস্ত অভিবাসী মালয়েশিয়ার ট্যুরিস্ট ভিসায় ভুয়া তথ্য উপাত্ত নিয়ে দেশটিতে প্রবেশ করে এখানে কাজে যোগদান করছে এবং তারা স্থায়ীভাবে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার ঘুস গ্রহন করেছেন আটককৃতরা। বিমানবন্দরের প্রবেশের মূল নিদিষ্ট কিছু কাউন্টারে এসব সিন্ডিকেট বাণিজ্য তৈরি করে দুর্নীতি করা হয়েছে।