বাংলাদেশের ২০২৫ ও ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে মালদ্বীপের শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারি মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে বিশেষ আসন বরাদ্দের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাতে বাংলাদেশ মিশনের কনসুলার সহকারী এবাদ উল্লাহর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে ইন্টার্নশিপ সমাপ্ত করে আসা মালদ্বীপের শিক্ষার্থীদের একটি দলকে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনে অভ্যর্থনা জানাতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার ড. মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম এ ঘোষণা দেন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে হাইকমিশনার ড. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ-মালদ্বীপের মধ্যকার শিক্ষা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। যাতে বাংলাদেশী মেডিক্যাল কলেজগুলোতে মালদ্বীপের শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় দফায় ইন্টার্নশিপও সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।’
হাইকমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশের মেডিক্যাল শিক্ষা ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সুপরিচিত। এখানকার পাঠ্যক্রম, হাসপাতালভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিস বিশ্বমানের।’
সুতরাং শুধু অ্যাকাডেমিক পড়াশোনার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে শিক্ষার্থীদেরকে বাংলাদেশের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি, ইতিহাস, খাবার এবং মানুষের আতিথেয়তা উপভোগ করারও আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, ‘এ ইন্টার্নশিপ কর্মসূচি দু’দেশের মধ্যে শিক্ষা কূটনীতি, পাবলিক ডিপ্লোমেসি, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও সফট পাওয়ার বাড়ানোর গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। এটি বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের বন্ধুত্বকে আরো দৃঢ় করবে।’
হাইকমিশন জানায়, বাংলাদেশ সরকার ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য মোট ২২৪টি আসন বরাদ্দ করেছে। এর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে মালদ্বীপের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে ছয়টি এমবিবিএস এবং একটি বিডিএস আসন সংরক্ষণ করা হয়েছে।
এদিকে মালদ্বীপের যোগ্য শিক্ষার্থীদের আগামী ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে মালদ্বীপের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আবেদনের ক্ষেত্রে সব নথিপত্র যথাযথভাবে সত্যায়িত থাকার শর্ত দেয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে হাইকমিশনার ড. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় উচ্চমানের ও সাশ্রয়ী মেডিক্যাল শিক্ষা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ এখন অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য। প্রতি বছরই সরকারি কোটা ও বিভিন্ন বৃত্তির আওতায় মালদ্বীপের বহু শিক্ষার্থী বাংলাদেশে পড়াশোনা করছেন। যা দু’দেশের জনগণের মধ্যে বোঝাপড়া ও বন্ধুত্ব আরো সুদৃঢ় করছে।’
তিনি আশা করেন, ‘বাংলাদেশে ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন করা মালদ্বীপের শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে দু’দেশের বন্ধুত্বের সেতুবন্ধনকে আরো শক্তিশালী করবে এবং মালদ্বীপের স্বাস্থ্যখাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’
একইসাথে হাইকমিশন মালদ্বীপের শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশের সুপরিচিত মেডিক্যাল প্রতিষ্ঠানগুলোতে অধ্যয়নের সুযোগ গ্রহণের আহ্বান জানায়, যা তাদের পেশাগত উন্নয়ন ও ব্যক্তিগত বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।



