মালয়েশিয়ায় কাজ দেয়ার কথা বলে শ্রমিকদের অপহরণ করে নির্যাতন চালিয়ে পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় দুই বাংলাদেশী অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ। এসময় সাতজনকে জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, মালয়েশিয়ায় জহুরবারু এলাকায় কাজ দেয়ার কথা বলে শ্রমিকদেরকে কৌশলে অপহরণ করে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে নির্যাতনের ভিডিও ধারন এবং সেই ভিডিও পরিবারের কাছে পাঠিয়ে লাখ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে একটি বাংলাদেশী অপহরণকারী চক্র। পরে মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়ে এক বাংলাদেশী শ্রমিক মালয়েশিয়া পুলিশের কাছে অভিযোগ দেয়ার পর আঁতকে উঠে পুলিশ।
সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বুকিত আমান গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই বাংলাদেশী অপহরণকারীকে হাতে নাতে গ্রেফতার করে। এসময় জিম্মিদশা থেকে সাতজন বাংলাদেশীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় আরো দুই অপহরণকারী পালিয়ে যাওয়ায় পুলিশ তাদের খুঁজছে। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ আসামি ও ভিকটিমদের নাম পরিচয় প্রকাশ করেনি।
অপহরণকারীদের কবল থেকে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়ে আহতাবস্থায় মো: কামাল মিয়া (ছব্দ নাম) প্রথমে জহরবারু রাজ্য থেকে ৬ ঘণ্টার জার্নি করে কুয়ালালামপুরে আসেন। সেখানে কামাল মিয়া তার বন্ধু বান্ধবদের কাছে ঘটনাটি খুলে বলেন। ঘটনা শুনে ও নির্যাতনের ভিডিও দেখে সংশ্লিষ্টরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
এসময় দ্রুত আহত কামাল মিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করে কুয়ালালামপুর বালাই পুলিশ তামান বুকিত ইনদাহ তে পুলিশ রিপোর্ট করা হয়। পুলিশ তাৎক্ষণিক জহরবারু গোয়েন্দা পুলিশকে ইনফর্ম করে। পরে সাথে সাথে অপহরণকারীদের আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করে হাতে নাতে দুই অপহরণকারীকে আটক করে এবং জিম্মি করে রাখা সাত বাংলাদেশীকে উদ্ধার করে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অপহরণের শিকার কামাল মিয়া জানান, প্রথমে তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় কাজ দেয়ার জন্য বিভিন্ন বিজ্ঞপ্তি দেয়। তারপর শ্রমিকদের সংগ্রহ করে একটি গোপন জায়গায় নিয়ে রেখে ভাল খাবার দাবার ও ভালো ব্যবহার করে। এরপর ২/৩ জন করে আলাদা অন্য একটি গোপন কক্ষে নিয়ে হাত পা বেঁধে অমানবিক নিষ্ঠুর নির্যাতন করে ভিডিও ধারণ করে সেই ভিডিও পরিবারের কাছে পাঠিয়ে মুক্তিপণ দাবি করা হয়।