গাজায় নিরীহ মানুষের প্রতি ইসরাইলি সেনাদের নৃশংস আক্রমণ ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে ফিলিস্তিনি ন্যাশনাল অ্যান্ড ইসলামিক ফোর্সেস গ্রুপ। তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) শিক্ষার্থীরা সকল ক্লাব, ল্যাব বর্জন করেছেন।
আজ সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও ফিলিস্তিনের সাথে সংহতি প্রকাশ করে সকলে কর্মবিরতি পালন করে।
এদিন বুটেক্সের প্রধান ফটকের সামনে ইসরাইলের আগ্রাসনের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বুটেক্সের সাধারণ শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
পাশাপাশি, মানবতার কথা বলে গণহত্যায় সরাসরি সহযোগিতা করার জন্য আমেরিকা এবং ওআইসিভুক্ত ৫৭টি মুসলিম দেশের শাসকদের এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিশ্চুপ থাকার জন্য নিন্দা জানানো হয়।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাইজ অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখির মধ্যেই সীমাবদ্ধ না রেখে, আমাদের প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্য আমাদের নিজেদেরকে তাদের সমকক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।’
ফ্যাব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. এমদাদ সরকার বলেন, ‘সমগ্র মুসলিম উম্মাহ এক দেহের মতো। দেহের কোনো অংশে ব্যথা হলে আমরা তা অনুভব করি। তাই আজ আমরা আমাদের দায়িত্ববোধ থেকেই এখানে দাঁড়িয়েছি।’
পাশাপাশি, বাংলাদেশ ও বিশ্বের মুসলিম নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আর কবে আপনাদের হুঁশ ফিরবে? আপনার দেশের মারণাস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র কাদের বিরুদ্ধে কাজে লাগাবেন? আপনারা কি মনে করছেন, এসব অস্ত্র দিয়ে কেবল নিজের দেশের জনগণকে হেফাজত করবেন? তা কখনোই সম্ভব নয়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো: তৌহিদ ইলাহী শাফী বলেন, ‘গাজায় আমাদের মুসলিম ভাইদের ওপর চলমান গণহত্যা ও নৃশংসতা মানবতার সকল সীমা অতিক্রম করেছে। আমরা নীরব দর্শক হয়ে তাদের কষ্টের ভাগীদার হয়ে পড়েছি। আমরা কি আসলেই এক উম্মাহর অংশ? আমরা কি বিচারের দিনে আল্লাহ তায়ালার সামনে দাঁড়াতে পারব? শুধু প্রার্থনা কিংবা বয়কট নয়, প্রকৃত পরিবর্তনের জন্য একটি শক্তিশালী ইসলামী রাষ্ট্র ও মুসলিম সেনাবাহিনী গঠন এখন সময়ের দাবি।’