রাবিতে ২২ ঘণ্টা ধরে চলছে শিক্ষার্থীদের অনশন, অসুস্থ দু’জন হাসপাতালে

২২ ঘণ্টা পার হলেও তারা অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে অনশনরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তাদের দু‘জন। পরে তাদের চিকিৎসার জন্য মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে।

রাবি প্রতিনিধি

Location :

Rajshahi
চলছে শিক্ষার্থীদের অনশন
চলছে শিক্ষার্থীদের অনশন |নয়া দিগন্ত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শর্তসাপেক্ষে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে আমরণ অনশন করছে কয়েকজন শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জোহা চত্বরে এ অনশন করছেন তারা। এদিকে ২২ ঘণ্টা পার হলেও তারা অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে অনশনরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তাদের দু‘জন। পরে তাদের চিকিৎসার জন্য মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে তুমুল বৃষ্টির মধ্যেও তাদের অনশন করতে দেখা যায়।

এর আগে গতকাল বিকেল ৫টায় প্রথম অনশনে বসেন সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০২-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আসাদুল ইসলাম। পরে তার সাথে একত্বতা পোষণ করেন আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী।

অনশনরত ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী সজিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা গতকাল রাত থেকে বসে আছি, রোদে পুড়ছি, বৃষ্টিতে ভিজছি, মশার কামর খাচ্ছি। আমাদের শরীরের অবস্থা কি? তাও কেও আমাদের দেখতে আসেনি। অনেকে স্লোগান দিয়েছিল যে, রক্ত লাগলে রক্ত নে, পোষ্য কোটার কবর দে। তাদের রক্ত দেয়া শেষ। আমাদের এখনো রক্ত দেয়া শেষ হয়নি, আমরা আছি। যতক্ষণ না এর সমাধান হবে আমরা আছি। আমাদের কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল না, এখনো নেই। একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আমি এখানে আছি এবং থাকবো।’

সমাজকর্ম বিভাগের ২৪-২৫ সেশনের শিক্ষার্থী সানজিদা বলেন, ‘আমার ভাইয়েরা গতকাল থেকে কষ্ট করছে তাদের দেখার মতো কেউ নাই। আমি বলতে চাই, প্রশাসনের নামে প্রহসন আর কতদিন? আমরা যেখানে ৬০-৬৫ পেয়ে ভর্তি হতে পারি না সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকতা-কর্মচারীদের সন্তানরা নামমাত্র পাশ নাম্বার পেয়ে কিভাবে ভর্তি হয়?’

তিনি আরো বলেন, ‘তারা তাদের সন্তানদের নিয়ে কেন এতটা ইনসিকিউর? তাদের কি তাদের সন্তানদের প্রতি আত্মবিশ্বাস নেই যে তারা যোগ্যতায় ভর্তি হবে। এভাবে ভিক্ষাবৃত্তি আর কতদিন? এখানে যারা আছে সবাই তার মায়েদের কলিজার টুকরা। তারা যে এভাবে নির্যাতিত হচ্ছে এগুলো দেখার কি কেউ নেই?’

এদিকে দুপুর ১টার দিকে অনশনরত শিক্ষার্থীদের কাছে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম কনককে।

তিনি বলেন, ‘আমি মূলত ছাত্রদের খোঁজখবর নিতে এখানে এসেছি। তাদের সাথে কথা বলে বুঝতে পেরেছি, তারা খুব কষ্টের মধ্যে আছে। তাই আমি নিজেও তাদের সাথে অনশনে যোগ দিয়েছি। ইতোমধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে, আমরা তাদের চিকিৎসার জন্য মেডিক্যালে পাঠিয়েছি।’

অসুস্থ হওয়া দুই শিক্ষার্থী হলেন- সমাজকর্ম বিভাগের ২৪-২৫ সেশনের ইস্পাহানি ও আরবি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রমজানুল মোবারক।