চাকসু নির্বাচন

শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছতে মরিয়া প্রার্থীরা, ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

৩৬ বছর পর আসন্ন চাকসু নির্বাচনকে ঘিরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা প্রচারণায় ব্যস্ত, প্রশাসন শান্তিপূর্ণ ভোটের লক্ষ্যে বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ও তল্লাশি জারি করেছে।

নূরুল মোস্তফা কাজী, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Location :

Chattogram
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ভবন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ভবন |ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ(চাকসু), হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা এখন শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছতে মরিয়া হয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে দফায় সরকারি বিভিন্ন সংস্থার সাথে সমন্বয় সভা করছেন। আর শিক্ষার্থীরা পর্যালোচনা করছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলগুলোর ইশতেহারে দেয়া প্রতিশ্রুতি এবং এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কারা সক্ষম- তা নিয়ে। নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চবি প্রশাসন।

শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. হোসেন শহীদ সরওয়ার্দীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।

একইসাথে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশির নির্দেশও দেয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ১৫ অক্টোবর দীর্ঘ ৩৬ বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমসহ সাবেক শিক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্ট মহলের আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসন দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। এ লক্ষ্যে ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ সীমিত করার পাশাপাশি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সবসময় পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড বা ব্যাংক রশিদ) সাথে রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এছাড়া প্রক্টরিয়াল বডি ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রয়োজনবোধে তল্লাশি চালানোর ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সকলের সহযোগিতা কামনা করে জানিয়েছে, আসন্ন চাকসু নির্বাচনকে ঘিরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে তারা কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

চাকসু নির্বাচনকে ঘিরে ১৩টি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এর মধ্যে ইতোমধ্যে ৯টি প্যানেল তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে।

এদিকে নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে পারষ্পরিক অভিযোগ তোলার প্রবণতাও তত বাড়ছে। তবে শিক্ষার্থীরা মুখিয়ে আছে ১৫ অক্টোবর ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য। নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্যাম্পাসে যে উৎসব মুখর এবং সম্প্রীতির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে তা যেন সব সময় বজায় থাকে এমন প্রত্যাশা শিক্ষার্থীদের।