রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছে শিক্ষক-কর্মকর্তারা। গতকাল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হাতাহাতির ঘটনায় বিচার চেয়ে এ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিলেন তারা। নির্বাচনের মাত্র চার দিন আগে এমন কর্মসূচির ফলে সঠিক সময়ে রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। তবে সবকিছুকে ঝেড়ে নির্ধারিত সময়েই মানে ২৫ তারিখেই রাকসু নির্বাচন হবে এবং এর সকল কার্যক্রম চলমান বলে জানিয়েছেন রাকসুর প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই শিক্ষার্থীদের তেমন প্রচার চালাতে দেখা যায়নি। তবে হাতে গোনা কয়েকজন প্রার্থীকে লিফলেট বিতরণ করতে দেখা যায়।
তবে শিক্ষক কর্মকর্তাদের এ আন্দোলন রাকসুতে কোনো প্রভাব ফেলবে কি না জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স সমিতির সভাপতি মুক্তার হোসেন বলেন, ‘রাকসুতে আমাদের এ আন্দোলন কোনো প্রভাব ফেলবে না। রাকসুকে আমরা আমাদের কর্মসূচির বাইরে রেখেছি। আমাদের দাবি হলো, ছাত্র নামধারী যে কিছুসংখ্যক সন্ত্রাসী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসিকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে, এমনকি তাকে বাসাতেও ঢুকতে দেয়া হয়নি; এদের চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে শাস্তি দিতে হবে।’
রাকসু নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. সেতাউর রহমান বলেন, ‘গতকালের ঘটনায় আমাদের নির্বাচনি কোনো কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে বলে আমরা মনে করছি না। এছাড়া শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কর্মসূচি রাকসুতে প্রভাব ফেলবে না। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আমরা সকল ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। রাকসু যেহেতু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের একটা প্রত্যাশা তাই আমরা সকল পক্ষের সহযোগিতা চাই। ভিসি স্যারও আমাদের সকল ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে নির্দেশনা দিয়েছেন। ২৫ তারিখেই রাকসু নির্বাচন হবে, আমাদের নির্বাচনি সকল কার্যক্রম চলমান।’
তিনি আরো বলেন, ‘শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের প্রতিনিধিদের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। তারা বলেছেন যে গতকালকের ঘটনার ভিত্তিতেই তারা আজকের কর্মসূচি দিয়েছেন এবং সকল জরুরি সেবা তাদের এ আন্দোলনের আওতামুক্ত। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ তারিখেই যেহেতু রাকসু নির্বাচন তাই এটি বর্তমানে একটি জরুরি সেবার অবস্থানেই আছে।’