জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্রোহী হল যার নামেই এক ধরনের গর্ব, সাহস আর প্রতিরোধের স্পন্দন জাগে। কিন্তু সেই হলের ডাইনিংয়ের এক কোণে বেসিন যেন হয়ে উঠেছে অপবিত্রতার প্রতীক। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস সেই বেসিনে জমেছে ময়লা। বাসা বেঁধেছে পোকামাকড়ের রাজত্ব।
যেখানে ছাত্রদের হাত ধোয়ার কথা, সেখানে এখন ভেসে বেড়ায় মাছি, আরশোলা আর জলের গন্ধে বিমর্ষ করে তোলে মন। খাওয়ার আগে কেউ হাত ধোয়ার জন্য গেলে ফিরে আসে বাজে অভিজ্ঞতা নিয়ে।
সেতু নামের একজন ছাত্র বলেন, ‘খাবারের স্বাদ বোঝার আগেই বেসিনের দৃশ্যেই মন বিষিয়ে যায়। প্রতিদিন একই দৃশ্য, একই গন্ধ। বিদ্রোহী হলে এসে যেন বিদ্রোহ করতে হয় নিজের ক্ষুধার সাথেই। এই ব্যবস্থা যেন কেবল ময়লা নয় বরং পুরো হলের সৌন্দর্যবোধ, পরিচ্ছন্নতা নষ্ট হচ্ছে। যাদের দায়িত্ব, তাদের উদাসীনতা যেন স্পষ্ট প্রতিটি বেসিনে।’
ডাইনিং ম্যানেজার আব্বুল জব্বার বলেন, ‘আমি তো চারটা বেসিন পরিষ্কার করাই। বাকিটা মেসের, ওরা কেন করায় না। এটা তো অনেক দিন ধরেই এমন হয়ে আছে। পরিষ্কার করার লোকও আসে না।’
তবে এ বিষয়ে হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো সদুত্তর মেলেনি। শিক্ষার্থীরা চান, বিদ্রোহ শুধু নামে নয়, হোক কাজেও। এবার বিদ্রোহ হোক নোংরামির বিরুদ্ধে, আর ফিরে আসুক রুচির রাজত্ব।
বিদ্রোহী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পরিষ্কার না করলে তোমরা তাড়িয়ে দাও। আমিও বলে বলে ক্লান্ত হয়ে গেছি। দু’দিন আগেও ডেকে নিয়ে বললাম। আমার নির্দেশনা কেউ মানে না।’