রাকসু নির্বাচন

ভিপি-এজিএস পদে জয়ী শিবির, জিএসে আধিপত্যবিরোধী ঐক্য

রাকসু নির্বাচনে ভিপি ও এজিএস পদে জয়ী হয়েছে শিবির-সমর্থিত প্যানেল, আর জিএস পদে জয় পেয়েছে আধিপত্যবিরোধী ঐক্য।

রাবি প্রতিনিধি

Location :

Rajshahi
রাকসুতে ভিপি-এজিএস পদে শিবিরের মোস্তাকুর-সালমান, জিএসে আধিপত্যবিরোধী ঐক্যের আম্মার জয়ী
রাকসুতে ভিপি-এজিএস পদে শিবিরের মোস্তাকুর-সালমান, জিএসে আধিপত্যবিরোধী ঐক্যের আম্মার জয়ী |নয়া দিগন্ত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ছাত্রশিবির-সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান (জাহিদ) জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৮৭টি ভোট।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের শেখ নূর উদ্দীন (আবীর) পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৯৭ ভোট।

এছাড়া সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের সালাউদ্দিন আম্মার এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে শিবির-সমর্থিত প্যানেলের এস এম সালমান সাব্বির নির্বাচিত হয়েছেন।

আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন।

জিএস পদে সালাউদ্দিন আম্মার মোট ভোট পেয়েছেন ১১ হাজার ৫৪৬টি। তার নিকটতম শিবিরের প্যানেলের জিএস প্রার্থী ফজলে রাব্বি মো: ফাহিম রেজা পেয়েছেন ৫ হাজার ৭২৯ ভোট। আম্মার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক। ফাহিম রেজাও সাবেক সমন্বয়ক।

এই পদে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের নাফিউল ইসলাম জীবন ভোট পেয়েছেন ১ হাজার ৩২৮ ভোট।

এজিএস পদে এস এম সালমান সাব্বির ভোট পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৭৮টি। তার নিকটতম ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের জাহিন বিশ্বাস (এষা) পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৪১ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সজিবুর রহমান ২ হাজার ৯০৭ ভোট পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় শেষ হয়। নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১। এর মধ্যে ছাত্রী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ জন ও ছাত্র ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৬ জন। নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৬৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এর মধ্যে ছয়টি নারী হলে ভোট পড়ার হার ৬৩ দশমিক ২৪ শতাংশ।

নির্বাচনে ১০টি প্যানেলসহ রাকসুর ২৩ পদে ২৪৭ জন, হল সংসদে ১৫ পদে ১৭টি হলে ৫৯৭ প্রার্থী এবং সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ৫ পদে ৫৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। রাকসুতে ভিপি পদে ১৮ জন, জিএস পদে ১৩ জন ও এজিএস পদে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।