সমালোচনা ও বিতর্কের মুখে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগের মাত্র দুই দিনের মাথায় অপসারণ করা হয়েছে গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. ফজলুল হককে। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: শাহজাহান আলী।
সোমবার (৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে প্রভোস্টের পদ থেকে অপসারণ করে।
বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে গত ৩ মে (শনিবার) ড. ফজলুল হককে ছাত্র হল-১ এর নতুন প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তবে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনার ঝড়।
অভিযোগ ওঠে, তিনি ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব। শিক্ষার্থী ও সচেতন মহলের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদী মানসিকতা এবং আওয়ামীপন্থী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলে অপসারণের দাবিও জানানো হয়।
খোজ নিয়ে জানা যায় তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ নীলদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পদে ভোট ও করেছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, এমন বিতর্ক ও চাপের মুখে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অধ্যাপক ড. ফজলুল হককে প্রভোস্টের পদ থেকে অপসারণ করে। একই দিন নতুন প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ পান পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: শাহজাহান আলী। তিনি এর আগে অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে এটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, ছাত্রকল্যাণমুখী ও নিরপেক্ষ হল প্রশাসন নিশ্চিত করতেই এই পরিবর্তন এনেছে কর্তৃপক্ষ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ দূরীকরণের পর পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হল প্রশাসনের দায়িত্বে এরকম বিতর্কিত ব্যক্তি নিয়োগ দেয়া শিক্ষার্থীদের মাঝে আস্থার সংকট তৈরি করতে পারে। নতুন প্রভোস্ট ড. মো: শাহজাহান আলীর নেতৃত্বে হল প্রশাসন শিক্ষার্থীবান্ধব হবে এমনটাই প্রত্যাশা করছে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে অধ্যাপক ফজলুল হককে মুঠোফোনে ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।