জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি থাকলেও বেশিরভাগ প্যানেল এখনো তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেনি। প্রচারণা জোরদার থাকলেও শিক্ষার্থীদের সামনে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন না করায় ভোটারদের মধ্যে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। ফলে প্রার্থী নির্বাচনে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন অনেক শিক্ষার্থী।
এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদে মোট ১৭৯ জন প্রার্থী লড়ছেন। এরমধ্যে আটটি প্যানেল রয়েছে— পাঁচটি পূর্ণাঙ্গ ও তিনটি আংশিক। পূর্ণাঙ্গ প্যানেলের মধ্যে ছাত্রশিবির, ছাত্রদল ও বাগছাস সমর্থিত তিনটি এবং প্রগতিশীলদের আলাদা তিনটি (ছাত্র ইউনিয়নের অংকুর-অর্ক অংশ ও কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠন, ছাত্র ইউনিয়নের ইমন-তানজিম অংশ ও ছাত্রফ্রন্টের একটি অংশ, এবং ছাত্রফ্রন্টের আরেকটি অংশ) রয়েছে। এছাড়া স্বতন্ত্রভাবে জিতু-শাকিল ও মেঘের নেতৃত্বে দুটি প্যানেল গঠন করা হয়েছে।
প্যানেলের বাইরে থেকেও বিভিন্ন পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী লড়ছেন। যদিও কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যক্তিগতভাবে তাদের ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। এদিকে পূর্ণাঙ্গ প্যানেলগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত কেবল ছাত্র ইউনিয়ন (অংকুর-অর্ক) সমর্থিত ‘সম্প্রতির ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণার সময় ইশতেহার প্রকাশ করেছে। বাকি সাতটি প্যানেল এখনো কোনো ইশতেহার দেয়নি।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ইশতেহার ছাড়া প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বোঝা যাচ্ছে না।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘পোস্টার-প্রচারণায় ক্যাম্পাসে জাকসুর আমেজ তৈরি হলেও প্রার্থীরা আসলে শিক্ষার্থীদের জন্য কী করবে সেটা জানা যাচ্ছে না। এটা হতাশাজনক।’
ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ সাদী বলেন, ‘আগামী দু’দিনের মধ্যে আমরা সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনী ইশতেহার দেব। তবে এরই মধ্যে আমরা প্রচারণায় শিক্ষার্থীদের জানাচ্ছি, নির্বাচিত হলে কী কী কাজ করব।’
এ বিষয়ে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’র জিএস প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ইশতেহার প্রস্তুত রয়েছে, কালকের মধ্যে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তা প্রকাশ করা হবে।’