রাজনীতির দুই ঢেউয়ে ঈদের গান

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের কোরবানি ও ছাত্রদলের নৈশভোজ

ঈদ মানেই উৎসব, ঈদ মানেই সহমর্মিতা এই চেতনায় ভর করেই তারা দুই রকম উদ্যোগ নিয়েছে একটিতে কোরবানির খুশি, আরেকটিতে নৈশভোজের মিলনমেলা।

এস এম মোজতাহীদ প্লাবন, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

Location :

Mymensingh
ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলের লোগো
ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলের লোগো |নয়া দিগন্ত

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায় ‘ভালোবাসা ছড়িয়ে দাও, ত্যাগে খুঁজে নাও শান্তি, এই তো ঈদের বারতা, এই তো জীবনের গান। নজরুলের গানের এমন উপমায় ময়মনসিংহে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায় ঈদের সুবাস ছড়িয়ে পড়েছে আগাম শুভবার্তার মতো।

পবিত্র ঈদুল আজহাকে ঘিরে শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের মুখে হাসি ফোটাতে এগিয়ে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

ঈদ মানেই উৎসব, ঈদ মানেই সহমর্মিতা এই চেতনায় ভর করেই তারা দুই রকম উদ্যোগ নিয়েছে একটিতে কোরবানির খুশি, আরেকটিতে নৈশভোজের মিলনমেলা।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের মেসে থাকা শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের জন্য দেয়া হবে দুটি কোরবানি। ত্যাগের মহিমায় ভাসবে নজরুলের প্রাঙ্গণ, ভাগ হবে কোরবানির গোশত, ভ্রাতৃত্বের বন্ধন হবে আরো দৃঢ়।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদ কবির বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই শিবির প্রতিবছর কোরবানি দেয়। তারই ধারাবাহিকতায় এবারো দুইটি গরু কোরবানি দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, এতোদিন প্রকাশ্যে প্রচার প্রচারণা করতে পারতাম না। এবারই প্রথম প্রচার করার সুযোগ পেয়েছি। আর এই কোরবানির উদ্দেশ্য জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে স্মরণ করে দোয়া করা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের বিভিন্ন মেসে অবস্থানরত শিক্ষার্থী, মেসের খালা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের মাঝে গোশত বণ্টন করে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করা।

অন্যদিকে ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মহিউদ্দিনের উদ্যোগে ঈদুল আজহার রাতকে রঙিন করে তুলতে আয়োজন করা হয়েছে নৈশভোজের। ক্যাম্পাসের কাছে এক হোটেলে টোকেন সিস্টেমের মাধ্যমে অংশ নেবেন বিশ্ববিদ্যালয়পাড়ার মেসে থাকা শিক্ষার্থীরা। মিলন হবে মুখর, খাবারে থাকবে ঈদের ঐতিহ্য আর হৃদয়ে থাকবে সহানুভূতির সুর।

ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মহিউদ্দিন বলেন, গতকাল ক্যাম্পাসের কাছে এলাকায় ঘুরেছি। কোনো হোটেল খোলা নাই। আবার এদিকে আশেপাশের সবগুলো মেসেই এক দুইজন করে ছাত্র আছেই। তারা কষ্ট করে নিজেরা রান্না করে খাচ্ছে। এটা তো খারাপ লাগার বিষয়। তাই ভাবলাম সবাই মিলে আনন্দ করে ঈদ পালন করা যেতে পারে। তাই এমন উদ্যোগ নিয়েছি।

ছাত্ররাজনীতির এই দুটি ভিন্নধর্মী উদ্যোগ ছুঁয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের হৃদয়। রাজনীতির মাঠে ভিন্ন মত থাকলেও, ঈদের আনন্দে এক হয়েছে লক্ষ্য ছড়িয়ে দেয়া ভালোবাসা, ছড়িয়ে দেয়া ঈদের খুশি।