স্ট্যানফোর্ড-এলসেভিয়ার সেরা তালিকায় বাকৃবির ১১ শিক্ষক ও ১ শিক্ষার্থী

‘নিজের কাজের জন্য এমন স্বীকৃতি পাওয়া সত্যিই আনন্দের বিষয়। সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। আমি বিশ্বাস করি, এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণার প্রতি অনুপ্রাণিত করবে।’

বাকৃ‌বি প্রতি‌নি‌ধি

বিশ্বের সেরা ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ১২ জন গবেষক।

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বিশ্বের প্রথম সারির চিকিৎসা ও বিজ্ঞানবিষয়ক নিবন্ধ প্রকাশনা সংস্থা ‘এলসেভিয়ার’র সমন্বিত জরিপের আলোকে গত শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।

প্রকাশিত তালিকায় থাকা ১২ জনের মধ্যে ১১ জন শিক্ষক ও একজন শিক্ষার্থী রয়েছেন। এই তালিকা বিজ্ঞানীদের প্রকাশনা, এইচ-ইনডেক্স, সাইটেশন এবং অন্যান্য সূচকের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে।

তালিকায় স্থান পাওয়া বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা হলেন- কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ড. এহসানুল কবীর, কৃষি অর্থসংস্থান ও ব্যাংকিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: আক্তারুজ্জামান খান, কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল মজিদ, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: তাহজিব-উল-আরিফ, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. কে এম গোলাম দস্তগীর, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী মো: সাইফুল ইসলাম, মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: তানভীর রহমান, একোয়াকালচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: ফজলে রোহানী, ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: শাহজাহান, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রান বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: আব্দুল হান্নান, মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম লুৎফুল কবির ও কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।

এমন স্বীকৃতি পেয়ে অনুভূতি প্রকাশে কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ড. এহসানুল কবীর বলেন, নিজের কাজের জন্য এমন স্বীকৃতি পাওয়া সত্যিই আনন্দের বিষয়। সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। আমি বিশ্বাস করি, এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণার প্রতি অনুপ্রাণিত করবে।

প্রসঙ্গত, বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ গবেষকের এই তালিকায় বাংলাদেশ থেকে স্থান পেয়েছেন ৭১টি প্রতিষ্ঠানের ২৮৬ জন গবেষক।