পবিপ্রবি প্রতিনিধি
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সাহসী ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মাননা পেয়েছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (পবিপ্রবিসাস)।
আজ মঙ্গলবার পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে এই স্মারক তুলে দেয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম, প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো: আবদুল লতিফ সম্মিলিতভাবে সাংবাদিক সমিতির প্রতিনিধিদের হাতে স্মারকটি তুলে দেন।
পবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির পক্ষে স্মারক গ্রহণ করেন সভাপতি মারসিফুল আলম রিমন, দফতর ও প্রকাশনা সম্পাদক সফিকুল ইসলাম আকাশ এবং শিক্ষানবীশ সদস্য মোফাসেরুল হক তন্ময়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, রাজনৈতিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে সাহসিকতা, সত্যের পক্ষে অবিচলতা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিসরে লেখনীর মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়ে তোলার কারণে সাংবাদিক সমিতি এই সম্মাননার যোগ্যতা অর্জন করেছে।
সম্মাননা গ্রহণের পর পবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মারসিফুল আলম রিমন বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম চালিকাশক্তি ছিল সাংবাদিকদের লেখনী। ওই সময় পবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি ফ্যাসিবাদী রেজিমকে চ্যালেঞ্জ করেছে, নিপীড়নের বিরুদ্ধে সাহসের সাথে কলম ধরেছে। পুলিশের নজরদারি ও গোয়েন্দা সংস্থার চাপ উপেক্ষা করে আমরা আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছি।’ ফ্যাসিবাদ বিরোধী নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সবাইকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়া অনুষ্ঠানে পটুয়াখালী জেলার তিনজন শহীদ পরিবারের সদস্যদেরও সম্মাননা জানানো হয়। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতিই ছিল একমাত্র সংগঠন, যাকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে ঘটে যাওয়া ছাত্র-আন্দোলনের সময় পবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি তথ্য প্রকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ সময় সমিতির পক্ষ থেকে প্রকাশিত একাধিক প্রতিবেদন ও বিবৃতি জাতীয় গণমাধ্যমে আলোড়ন তোলে।