প্রতিষ্ঠার দুই দশক পর গবেষণাকর্মে প্রথমবারের মতো বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে স্থান করে নিয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)। যুক্তরাজ্যভিত্তিক উচ্চশিক্ষা বিষয়ক সাময়িকী টাইমস হায়ার অ্যাডুকেশন (টিএইচই) প্রকাশিত ২০২৫ সালের তালিকায় গবেষণার মানদণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান ৭২২তম।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) টিএইচই তাদের ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করে।
সামগ্রিক বিবেচনায় নোবিপ্রবির অবস্থান ১২০১-১৫০০ এর মধ্যে। বাংলাদেশের মোট ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয় এ তালিকায় স্থান পেয়েছে, যার মধ্যে নোবিপ্রবির অবস্থান ১২তম। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে স্থান পাওয়ার খবরে নোবিপ্রবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দ-উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে।
তাদের মতে, দীর্ঘদিনের গবেষণাভিত্তিক প্রচেষ্টার ফলেই এ স্বীকৃতি অর্জিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর ও র্যাঙ্কিংসেলের পরিচালক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক বলেন, ‘ভাইস-চ্যান্সেলরের দিকনির্দেশনায় গঠিত র্যাঙ্কিংসেলের এক বছরের নিরলস পরিশ্রমের ফল এই অর্জন। দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো ডেডিকেটেড র্যাঙ্কিংসেল নেই, কিন্তু আমরা শুরু থেকেই পরিকল্পিতভাবে কাজ করেছি। এটি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সম্মিলিত অবদানের ফসল।’
নোবিপ্রবির ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, ‘গবেষণা ও শিক্ষার পথে এটি একটি বড় মাইলফলক। জুলাই বিপ্লবের পর গঠিত র্যাঙ্কিংসেলের নিবেদিত প্রচেষ্টায় আমরা আজ এই অবস্থানে পৌঁছেছি। বিশ্বমঞ্চে নোবিপ্রবির অবস্থান তৈরি হয়েছে।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার, শিক্ষামন্ত্রণালয়, ইউজিসি এবং স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় নোবিপ্রবি ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের র্যাঙ্কিংয়ে ১১৫টি দেশ ও অঞ্চলের ২ হাজার ১৯১টি বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এ বছরও শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। টিএইচই পাঁচটি মানদণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান নির্ধারণ করে- শিক্ষার মান, গবেষণার পরিবেশ, গবেষণার প্রভাব ও গুণগতমান, শিল্পখাতে অবদান এবং আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি।