প্রাথমিকে ‘সঙ্গীত শিক্ষক’ নিয়োগ বাতিল, সরকারের প্রতি মূল্যবোধ সংরক্ষণ পরিষদের কৃতজ্ঞতা

‘একইসাথে আমরা ধন্যবাদ জানাই—উলামায়ে কেরাম, শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী, গণমাধ্যমকর্মী, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন ও সোশ্যাল মিডিয়া এ্যাক্টিভিস্টসহ সকল সচেতন নাগরিক ও অভিভাবকবৃন্দকে, যারা সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগের হঠকারী সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য আন্দোলন করেছেন এবং নিজ নিজ অবস্থান থেকে যারা যেভাবে অবদান রেখেছেন সবার প্রতি আমাদের অশেষ কৃতজ্ঞতা।’

নয়া দিগন্ত অনলাইন
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী ডা: শফিকুর রহমান, মুফতি সৈয়দ মো: রেজাউল করীম, মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক, মাওলানা সাজিদুর রহমান, ড. খ. ম. কবিরুল ইসলাম ও ড. আহমদ আব্দুল কাদের
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী ডা: শফিকুর রহমান, মুফতি সৈয়দ মো: রেজাউল করীম, মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক, মাওলানা সাজিদুর রহমান, ড. খ. ম. কবিরুল ইসলাম ও ড. আহমদ আব্দুল কাদের |গ্রাফিক্স : নয়া দিগন্ত

দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ‘সঙ্গীত শিক্ষক’ নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিল করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে জাতীয় মূল্যবোধ সংরক্ষণ পরিষদ। এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের আপামর সাধারণ মানুষের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেছে বলে মনে করছে সংগঠনটি।

সোমবার (৩ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে সরকারের প্রতি এ কৃতজ্ঞতা জানানো হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক। বিবৃতিটি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ‘সঙ্গীত শিক্ষক’ নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিল করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানায় জাতীয় মূল্যবোধ সংরক্ষণ পরিষদ। এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের আপামর সাধারণ মানুষের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেছে। একইসাথে আমরা ধন্যবাদ জানাই—উলামায়ে কেরাম, শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী, গণমাধ্যমকর্মী, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন ও সোশ্যাল মিডিয়া এ্যাক্টিভিস্টসহ সকল সচেতন নাগরিক ও অভিভাবকবৃন্দকে, যারা সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগের হঠকারী সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য আন্দোলন করেছেন এবং নিজ নিজ অবস্থান থেকে যারা যেভাবে অবদান রেখেছেন সবার প্রতি আমাদের অশেষ কৃতজ্ঞতা।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, প্রাথমিক শিক্ষা হলো চরিত্র, নৈতিকতা, পরিচয় ও দায়িত্ববোধ গঠনের মূলভিত্তি। শিক্ষার এই স্তরে ধর্মীয় মূল্যবোধ পরিপন্থী যেকোনো সিদ্ধান্তই অগ্রহণযোগ্য। তা ছাড়া প্রাথমিকের বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় এবং শিক্ষকদের যথাযথ মূল্যানয়ন না করায় প্রাথমিক শিক্ষা ধুঁকে ধুঁকে চলছে। সুতরাং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিয়ে নতুন করে অপ্রত্যাশিতভাবে সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত একেবারেই অযৌক্তিক একটি কাজ ছিল। জনগণের অনুভূতি, বিশেষজ্ঞদের মতামত এবং সামাজিক বাস্তবতাকে বিবেচনায় নিয়ে সরকার যে সিদ্ধান্ত পুনর্মূল্যায়ন করেছে তা সরকারের প্রতি জনগণের আস্থাকে শক্তিশালী করেছে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

বিবৃতিতে বলা হয়, সেই সাথে প্রাথমিকে ধর্ম শিক্ষার বই এবং পরীক্ষা যেহেতু বিদ্যমান আছে, সঙ্গত কারণেই অবিলম্বে প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষকের পদ সৃজন করে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করার দাবি জানাচ্ছে জাতীয় মূল্যবোধ সংরক্ষণ পরিষদ। ট্রান্সজেন্ডারসহ ধর্মীয় মূল্যবোধ বিরোধী সকল মতবাদের অনুপ্রবেশ রোধে প্রয়োজনীয় নীতিগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করারও জোরালো দাবি জানাচ্ছে মূল্যবোধ সংরক্ষণ পরিষদ।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা হলেন-

  • ডা: শফিকুর রহমান, আমির, বাংলাদেশ জামাআতে ইসলামী।
  • সৈয়দ মো: রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই, আমির, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
  • মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক, আমির, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।
  • মাওলানা সাজিদুর রহমান, মহাসচিব, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
  • মাওলানা মাহফুজুল হক, মহাসচিব, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ।
  • ড. আহমদ আব্দুল কাদের, মহাসচিব, খেলাফত মজলিস বাংলাদেশ।
  • ড. খ. ম. কবিরুল ইসলাম, সাবেক সচিব, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ, উপদেষ্টা, শিক্ষা অধিকার সংসদ।