অনশনে অনড় ববি শিক্ষার্থীরা, অসুস্থ এক

অনশনের ১৯ ঘণ্টা (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত) পেরিয়ে গেলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এরই মধ্যে শরমিলা জামান সেঁজুতি নামের একজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তবে তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়া না পর্যন্ত তারা অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

মেহরাব হোসেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

Location :

Barishal
অসুস্থ শিক্ষার্থীকে স্যালাইন দেয়া হচ্ছে
অসুস্থ শিক্ষার্থীকে স্যালাইন দেয়া হচ্ছে |নয়া দিগন্ত

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ তিন দফা দাবিতে আমরণ অনশন করছেন সাত শিক্ষার্থী। গতকাল রাত ৯টা থেকে শুরু হওয়া এ অনশনের ১৯ ঘণ্টা (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত) পেরিয়ে গেলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এরই মধ্যে শরমিলা জামান সেঁজুতি নামের একজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তবে তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়া না পর্যন্ত তারা অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রান্ডফ্লোরে শিক্ষার্থীরা অনশন করছেন। অসুস্থ শিক্ষার্থীকে স্যালাইন দেয়া হয়েছে।

অনশনরত শিক্ষার্থীরা হলেন- ইংরেজি বিভাগের শরমিলা জামান সেঁজুতি, আইন বিভাগের শওকত ওসমান সাক্ষর, অ্যাকাউন্টিং বিভাগের তাইজুল ইসলাম তাজ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অমিও মন্ডল, রসায়ন বিভাগের আবু বকর সিদ্দিক ও লোকপ্রশাসন বিভাগের তামিম আহমেদ রিয়ান।

লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী তামিম আহমেদ রিয়ান বলেন, ‘আমাদের অনশনের ১৯ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হয়েছে। এ সময়ে একজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিছু আশ্বাস দিলেও আমরা রাষ্ট্রের কাছ থেকে আশানুরূপ কোনো ফল পাইনি। যতক্ষণ না সুনির্দিষ্ট প্রজ্ঞাপন জারি হবে ততক্ষণ আমরা অনশন চালিয়ে যাব।’

শিক্ষার্থী অমিয় মন্ডল বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করেও কোনো সমাধান না পেয়ে বাধ্য হয়ে আমরা আমরণ অনশনে বসেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা অনশন চালিয়ে যাব।’

শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক আহসানুল হক বলেন, ‘১৫ বছরের বিভাগীয় শহরের একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষক, ক্লাসরুম, পরিবহন বা গবেষণা বাবদ বাজেট নেই। তাই আন্দোলন ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নাই।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল শিক্ষার্থীদের দাবিকে যৌক্তিক বলে স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, ‘উন্নয়ন কার্যক্রম ও জমি অধিগ্রহণের কাজ প্রক্রিয়াধীন। একটি রোডম্যাপ তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আমাদের একটু সময় লাগবে কিন্তু আস্থার অভাবের কারণে শিক্ষার্থীরা অনশনে অনড় অবস্থায় রয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. তৌফিক আলম বলেন, ‘পিডি নিয়োগ মোটামুটি হয়ে গেছে। খুব দ্রুতই কাজ দৃশ্যমান হবে। জমি অধিগ্রহণ বিষয়ে আমরা মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলেছি এবং কাজটি চলমান রয়েছে।’

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে ব্যর্থ হয়ে তাদের পাশেই শুয়ে রাত পার করেন ভিসি।