পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার ‘বি’ ইউনিটের (মানবিক) পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় তাদের অভিভাবকদের ভোগান্তি লাঘবে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয় পাবিপ্রবি প্রশাসন।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিয়ারিং ভবন, একাডেমি ভবণ-১, একাডেমি ভবণ-২, এম এ ওয়াজেদ আলী মিয়া বিজ্ঞান ভবন ও মহুয়া ভবনে ভর্তি পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
পরীক্ষা শুরুর পর পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন ভিসি অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল-আওয়াল, প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মো: নজরুল ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো: শামীম আহসান।
এ বছর তীব্র গরমে শিক্ষার্থীদের সাথে আসা অভিভাবকদের ভোগান্তি ও কষ্ট লাঘব করতে পাবিপ্রবি প্রশাসনের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলের শেডের নিচে বসার চেয়ার, ফ্যান, বিশুদ্ধ পানি, নাস্তা ও মেডিক্যাল সেবার ব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের জন্যও পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত পানির ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়। প্রচণ্ড গরমে এসব মানবিক উদ্যোগে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুর্ভোগ অনেকটাই লাঘব করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ ধরনের মানবিক ও দায়িত্বশীল পদক্ষেপের প্রশংসা করছে উপস্থিত পরিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
নওগাঁ থেকে আসা অভিভাবক গোলাম রহমান বলেন, প্রথমবারের মতো এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এলাম। কিন্তু প্রশাসনের আন্তরিক ব্যবস্থাপনা দেখে খুব ভালো লাগছে। খোলা জায়গায় ছায়া, পানির ব্যবস্থা, বসার চেয়ার-সবকিছু মিলিয়ে গরমের মধ্যে অপেক্ষার সময়টুকু অনেকটা আরামে কেটেছে।’
রংপুর থেকে আসা আরেক অভিভাবক আব্দুল কুদ্দুস জানান, ‘বাচ্চারা ভেতরে পরীক্ষা দিচ্ছে, আর আমরা বাইরে দুশ্চিন্তায় থাকি-এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পাবিপ্রবিতে এসে সেই দুশ্চিন্তাও যেন কিছুটা কমে গেছে। এমন সুন্দর আয়োজন ও যত্নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।’
পাবিপ্রবি ভিসি অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল-আওয়াল বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি শুধু পরীক্ষার্থীদেরই নয়, অভিভাবকদেরও সর্বোচ্চ স্বস্তি দিতে। যারা দূরদূরান্ত থেকে এসেছেন, তাদের যেন গরমে কষ্ট না হয়-সে কারণে বসার জায়গা, খাবার পানি, হালকা নাস্তা ও মেডিক্যাল সহায়তার ব্যবস্থা রেখেছি। ভর্তি পরীক্ষার পরিবেশ যেন সবার জন্য ইতিবাচক হয়, সেটিই ছিল আমাদের মূল লক্ষ্য।’