কুয়েট ভিসির পদত্যাগ দাবিতে শাহবাগে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

কুয়েট অভিমুখে লং মার্চের হুঁশিয়ারি

বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ের দিকে যাত্রা করেন শিক্ষার্থীরা।

হারুন ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
কুয়েট ভিসির পদত্যাগ দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভ
কুয়েট ভিসির পদত্যাগ দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভ |নয়া দিগন্ত

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ভিসি অধ্যাপক মাসুদের পদত্যাগ দাবিতে শাহবাগে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা কলেজের একদল শিক্ষার্থী। এ সময় কুয়েটে অভিমুখে লং মার্চের হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীরা।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ের দিকে যাত্রা করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি হলপাড়া থেকে শুরু হয়ে রাজু ভাস্কর্য, চারুকলা ইনস্টিটিউট ও শাহবাগ থানা হয়ে প্রজন্ম চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

আন্দোলনকালে শিক্ষার্থীরা ‘দফা এক দাবি এক, ভিসি মাসুদের পদত্যাগ’, ‘আমার ভাই অনশনে, ইন্টেরিম কী করে?’, ‘শিক্ষা-সন্ত্রাস একসাথে চলে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, “কুয়েটের শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশনের প্রতি সংহতি জানিয়ে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্দোলন চলছে। এতকিছুর পরও ভিসি তার পদে বহাল রয়েছেন। যদি ভিসি পদত্যাগ না করেন, তাহলে আমরা দেশব্যাপী ‘লং মার্চ টু কুয়েট’ কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।”

কুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী জিহাদুল তালুকদার বলেন, ‘কুয়েটের আমার ছোট ভাইয়েরা ন্যায্য দাবিতে অনশন কর্মসূচি পালন করছে। তাদের সাথে হওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে তারা রুখে দাঁড়িয়েছে। তাদের দাবির সাথে সংহতি রেখে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও অনশন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। আমাদের সবার দাবি একই—স্বৈরাচারী ভিসি মাসুদের পদত্যাগ চাই। আমি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাই, যত দ্রুত সম্ভব আপনারা কুয়েটের ভিসিকে অপসারণ করুন।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহম্মদ বলেন, ‘কুয়েটের ভিসি শিক্ষার্থীদের পর্যায়ক্রমে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছেন। অনশনরত কয়েকজন শিক্ষার্থী ইতোমধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আজ এত আন্দোলন-সংগ্রামের পরেও কেন তিনি পদত্যাগ করছেন না জানেন? কারণ কুয়েট একটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, সেখানে প্রতিবছর হাজার কোটি টাকার টেন্ডার পাস হয়। সেগুলো দখলে রাখতে তিনি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের হেলমেট বাহিনীর মতো রামদা বাহিনী গঠন করতে চাচ্ছেন। আমরা বলে দিতে চাই, জুলাই মাসে এ দেশের ছাত্রসমাজ তাদের সামর্থ্য দেখিয়েছে। আপনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করুন, অন্যথায় কিভাবে পদত্যাগ করাতে হয়, তা ছাত্রসমাজ জানে।’

এ সময় তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কুয়েট ঘেরাও কর্মসূচির আহ্বান জানান।