আগামী ১১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন। দীর্ঘ ৩৩ বছর পর আয়োজিত এই নির্বাচনে ক্যাম্পাসজুড়ে বইছে উৎসবের আমেজ। তবে প্রচারণার মাঠে বেশ কিছু প্রার্থী নিজেদের প্যানেলের পরিচয় গোপন রেখে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে বিভ্রান্তিতে পড়েছেন প্রকৃত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
জানা গেছে, প্রার্থীরা হল, ক্লাসরুমসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে তারা সরাসরি প্যানেলের নাম উল্লেখ না করে ‘স্বতন্ত্র’ পরিচয় তুলে ধরছেন। এতে ভোটাররা প্রার্থী বাছাইয়ে সংশয়ে ও জটিলতায় পড়ছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অভিযোগ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মতাদর্শের ভিত্তিতে গঠিত প্যানেলভুক্ত প্রার্থীরা স্বতন্ত্র পরিচয়ে প্রচারণা চালালে প্রকৃত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সঙ্কটের মুখোমুখি হচ্ছেন।
তারা বলেছেন, অনেক ভোটার নির্দলীয় বা স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ভোট দিতে চাইছেন। কিন্তু প্যানেলের প্রার্থীরা স্বতন্ত্র পরিচয়ে প্রচারণা চালানোয় ভোটাররা প্রকৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী খুঁজে পেতে জঠিলতায় পড়ছেন।
এ বিষয়ে দু’জন প্যানেলভুক্ত প্রার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায়, সম্প্রতি দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অনেক ভোটার রাজনৈতিক সংগঠন সমর্থিত প্যানেলকে প্রাধান্য দিচ্ছেন না। ফলে তারা প্যানেলের নাম গোপন রেখে ব্যক্তিগত পরিচয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
তাদের দাবি, প্যানেলের পরিচয় সামনে আনলে অন্য মতাদর্শের ভোটারদের কাছে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়ে। এজন্য প্যানেলের নাম পোস্টারে থাকলেও সরাসরি পরিচয় না দিয়েই প্রচারণা করছে তারা।
রসায়ন বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং জাকসুতে সদস্য পদের প্রতিদ্বন্দ্বী রাকিবুল ইসলাম বলেন, প্যানেলে বিভিন্ন সুবিধা নেয়ার জন্য অনেক প্রার্থী প্যানেলে গেলেও তারা এখন দেখতেছে প্যানেলের থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোটাররা বেশি সমর্থন দিচ্ছেন। সেজন্য এখন তারা প্যানেলে থেকেও স্বতন্ত্র ভাবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। যেটা আমাদের মতো স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য জটিলতার সৃষ্টি করেছে। অনেক ভোটার সংশয় ও জটিলতার কথা জানালেও সরাসরি কেউ বক্তব্য দিতে আগ্রহী হননি।