পরশু রাকসুর ভোট

শেষ সময়ের প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা

রাত ১২টা পর্যন্ত প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে পারবেন। এদিকে শেষ দিনের প্রচারণাকে ঘিরে পুরো ক্যাম্পাসে তৈরি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ।

রাবি প্রতিনিধি

Location :

Rajshahi
আমতলায় প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’
আমতলায় প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ |নয়া দিগন্ত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটের ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রচারণা শেষ হচ্ছে আজ মঙ্গলবার। রাত ১২টা পর্যন্ত প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে পারবেন। এদিকে শেষ দিনের প্রচারণাকে ঘিরে পুরো ক্যাম্পাসে তৈরি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ। প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে, জানাচ্ছেন নিজেদের কর্মপরিকল্পনা ও প্রতিশ্রুতি। বিভিন্ন বিভাগের সামনে ও আবাসিক হলগুলোতে চলছে প্রার্থীদের সরাসরি প্রচারণা, পোস্টার ও হ্যান্ডবিল বিতরণসহ শুভেচ্ছা বিনিময়।

বিশেষ করে ক্যাম্পাসের আমতলা, পরিবহন মার্কেট, বুদ্ধিজীবী চত্বর, শহিদ মিনার, চারুকলা ও কৃষি অনুষদ, পশ্চিম পাড়া এলাকা ও বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে প্রার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

ড. মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে প্রচারণা চালানোর সময় কথা হয় রাকসুর ইতিহাসে প্রথম নারী ভিপি পদপ্রার্থী তাসিন খানের সাথে। তিনি বলেন, ‘আজ যেহেতু প্রচারণার শেষ দিন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি সবার কাছে পৌঁছাতে। তবে আমাদের সীমাবদ্ধতা হলো, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এখনো সবার কাছে পুরোপুরি পৌঁছাতে পারিনি। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এক হাতে সবকিছু সামলাতে হয়—এটা বড় একটা চ্যালেঞ্জ।’

এ সময় ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী শেখ নূর-উদ্দীন আবীর বলেন, ‘আমাদের প্যানেলের বিচিত্রতা নিয়ে শিক্ষার্থীরা ব্যাপক সাড়া দিচ্ছেন। বিশেষ করে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা আমাদের ভালোভাবে গ্রহণ করছেন, কারণ তাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির দাবিতে আমরা আন্দোলন করেছিলাম। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছাতে। আর যারা আমাদের সাথে কথা বলেছেন তারা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন।’

এদিকে আমতলায় প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছিলেন ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ। প্রচারণা কেমন চলছে— প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ৩৫ বছর পর নির্বাচন হতে যাচ্ছে, ফলে ক্যাম্পাসে বাড়তি আমেজ তৈরি হয়েছে। বারবার নির্বাচন পেছানোয় আমরা দীর্ঘ সময় পেয়েছি প্রচারণার জন্য। শিক্ষার্থীদের কাছে কয়েক বার যাওয়া গেছে, তারাও আমাদের সানন্দে গ্রহণ করছেন। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আমরা ভালো সাড়া পাচ্ছি।’

অনেক বছর পর নির্বাচন হওয়ায় ভোট কাস্টিংয়ের হার সম্পর্কে অনিশ্চয়তা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আশা করি, সবকিছু ঠিক থাকলে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই ভোট দিতে আসবে।’

উল্লেখ্য, রাকসু নির্বাচনে ২৩টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৪৭ জন প্রার্থী। এরমধ্যে ভিপি পদে ১৮, জিএস পদে ১৩ ও এজিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৬ জন। ছাত্রদল ও শিবির সমর্থিতসহ মোট ১১টি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে।

এছাড়া সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ৫টি পদে ৫৮ জন প্রার্থী এবং হল সংসদ নির্বাচনের ১৫টি পদের বিপরীতে ১৭টি হলে মোট ৫৯৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

রাকসু ও সিনেট নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১ জন। এরমধ্যে নারী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ ও পুরুষ ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৬ জন।

পুনর্বিন্যস্ত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৬ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। পরে গণনা শেষে সেদিনই ফলাফল ঘোষণা করা হবে।