টানা ৬ ঘণ্টা অবরুদ্ধ জবি’র ভিসি-ট্রেজারার-প্রক্টর

শিক্ষার্থীদের দাবি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নীতিমালা চূড়ান্তকরণ ও রোডম্যাপ ঘোষণা এবং সম্পূরক বৃত্তির চূড়ান্ত ঘোষণা।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
সংগৃহীত

দুই দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা টানা ছয় ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভিসি, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টর ও রেজিস্ট্রারসহ প্রশাসনিক ভবনের কর্মকর্তাদের।

রোববার (২৪ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে দুই দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের চলমান ‌‘নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচিতে অবরুদ্ধ রয়েছেন তারা।

এদিন বিকেল সাড়ে ৩টায় দুই দফা দাবিতে ‘নো ওয়ার্ক কর্মসূচি’ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ সময় ভেতরে-বাইরে বিভিন্ন রুটিন কাজে আসা ফাইল হাতে নিয়োজিত শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত (রাত ৯টা) ভিসিসহ সকলে অবরুদ্ধ আছে।

শিক্ষার্থীদের দাবি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নীতিমালা চূড়ান্তকরণ ও রোডম্যাপ ঘোষণা এবং সম্পূরক বৃত্তির চূড়ান্ত ঘোষণা। এর আগে বেলা ১২টার দিকে তারা ভিসি’র কক্ষের সামনে ‘ব্রেক দ্য সাইলেন্স’ শীর্ষক কর্মসূচি পালন করেন।

শিক্ষার্থীদের এ সকল দাবির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একমত। তাদের দাবি যৌক্তিক। জকসুর নীতিমালা সংশোধন করা হয়েছে এখনও হাতে পাইনি, তবে আশা করছি শিগগিরই হাতে পাব।’

তিনি বলেন, নীতিমালা পেলে মঙ্গলবার সিন্ডিকেট মিটিং করে পাস করব। এরপর বুধবার বা বৃহস্পতিবার ইউজিসিতে পাঠানো হবে। অধ্যাদেশ আসলেই রোডম্যাপ ঘোষণা করা সম্ভব হবে। জকসু অধ্যাদেশ হয়ে পাস হয়ে আসলেই আমরা নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করে দেবো।