মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ইসলামী ছাত্রশিবিরের আয়োজনে বর্ণাঢ্য সাইকেল র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে র্যালিটি শুরু হয়।
র্যালিটি মীর মোশারফ হোসেন হল গেট দিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে প্রবেশ করে পরবর্তী সময়ে প্রান্তিক গেট দিয়ে পুনরায় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।
র্যালিতে জাতীয় পতাকা, বিজয় দিবসের ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে নিয়ে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। এ সময় র্যালিতে অংশগ্রহণকারীদের ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘গোলামি না আজাদী, আজাদী আজাদী’, ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’, ‘তোমার দেশ আমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’সহ নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়।
র্যালি শেষে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতার মূল চেতনা ছিল ন্যায়, ইনসাফ ও মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠা। সেই চেতনাকে ধারণ করেই ছাত্রসমাজকে দেশ গঠনে দায়িত্বশীল ও ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের মাসব্যাপী বিভিন্ন শিক্ষার্থী-বান্ধব কর্মসূচির অংশ হিসেবেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিজয় দিবসে সাইকেল র্যালির আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের প্রতিটি কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে সাম্য, ন্যায়বিচার ও মানবিকতার বার্তা পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছি।’
শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন না করার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ইসলামী আদর্শ অনুসরণকারী একটি সংগঠন। ইসলাম যেসব কার্যক্রম সমর্থন করে না সেসব থেকে বিরত থাকার নীতিই আমরা অনুসরণ করি। সেই কারণেই আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণের পরিবর্তে তাদের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করি এবং দেশ ও জাতির সার্বিক সমৃদ্ধি কামনা করি।’
এ সময় ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পর্ক সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ সিবগা, কেন্দ্রীয় ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, স্পোর্টস সম্পাদক হারুনুর রশিদ রাফি, জাবি শাখা শিবিরের সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান, জাকসুর জিএস ও শাখা শিবিরের অফিস সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, এজিএস ফেরদৌস আল হাসানসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। র্যালিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে টিশার্ট, স্ন্যাকস ও বাংলাদেশের পতাকা বিতরণ করা হয়।



