ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তার ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত মতামত ও ভিসেরা রিপোর্টে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
রোববার (৩ আগস্ট) ওই রিপোর্টে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ পুলিশের সিআইডি মহাখালীর রাসায়নিক পরীক্ষাগারের প্রধান নজরুল ইসলাম ও খুলনা বিভাগীয় পরীক্ষক জনি কুমার ঘোষ।
এদিকে সাজিদের লাশ উদ্ধারের পর গঠিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংস কিমিটির রিপোর্ট ভিসির কাছে দিয়েছে কমিটির সদস্যরা। কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিষয়টি নিয়ে উচ্চতর তদন্তের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সাজিদের ভিসেরা রিপোর্টে বলা হয়, সাজিদের শরীরে কোনো বিষাক্ত পদার্থের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। শ্বাসরোধের ফলে সাজিদের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের সময় থেকে আনুমানিক ৩০ ঘণ্টা আগে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের সময় হিসেব করলে সেটি দাঁড়ায় ১৬ তারিখ দিবাগত রাত সাড়ে ৩টা।
রিপোর্টে স্বাক্ষরকারী কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের এক মেডিক্যাল অফিসার বলেন, ‘রিপোর্ট মতে দম বন্ধ হয়ে বা শ্বাসরোধে হত্যাকাণ্ড হয়েছে সাজিদের।’
এদিকে রোববার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তদন্ত রিপোর্ট হস্তান্তর করেছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংস কমিটি। একইসাথে বিষয়টি নিয়ে উচ্চতর তদন্তের সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংস কমিটি।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শাহ আজিজুর রহমান হলের পুকুর থেকে সাজিদের লাশ উদ্ধার করা হয়। সাজিদ আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এদিকে সাজিদের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।