তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা এবং তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল মিছিল করেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১৯ অক্টোবর) রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। ‘জাগো বাহে কোনঠে সবাই’- এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী হাতে মশাল জ্বালিয়ে মিছিল করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, উত্তরবঙ্গের কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা, কৃষি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও পরিবেশের সাথে তিস্তা নদী অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত। অথচ দীর্ঘদিন ধরে এ অঞ্চলের মানুষ অবহেলিত। সরকারের প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও তিস্তা মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন শুরু হয়নি। শুষ্ক মৌসুমে নদী রূপ নেয় মরা খালে, আর বর্ষায় প্লাবনে ভেসে যায় ফসলি জমি। এই বৈপরীত্যে উত্তরবঙ্গের মানুষ আজও বঞ্চনার শিকার।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘তোমার আমার ঠিকানা, তিস্তা তিস্তা’, ‘তিস্তার পাড়ের কান্না, আর না, আর না’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা, ঢাকা’, ‘তোমার দেশ, আমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’—এমন নানা স্লোগানে মুখর করে তোলেন ক্যাম্পাস।
ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মুজাহিদ হোসেন বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে অবদমিত। কোনো সরকার তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেনি, কারণ তারা ভারতের প্রতি অনুগত থেকেছে। যদি কেউ ভারতের আনুগত্য করতে চায়, আমরা তাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করব।’
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মোরসালিন হোসেন বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের দুই কোটি মানুষের কাছে তিস্তা শুধু একটি নদী নয়, এটি আমাদের আনন্দ-বেদনা, শিল্প ও সংস্কৃতির অংশ। বর্ষায় আমাদের মায়েদের চোখের পানি বাড়ে, বাবাদের হাহাকার শোনা যায়। তিস্তা যেন আমাদের মায়ের মতো- যখন সে কাঁদে, আমরাও কাঁদি। চলতি বছরের নভেম্বরের মধ্যেই তিস্তা মহাপরিকল্পনার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে হবে।’



