ফ্লোটিলা নৌবহরে ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে ও মানবিক সহায়তা যাত্রায় সংহতি জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (জাকসু) আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে ফ্রম দা রিভার টু দা সি, প্যালেস্টাইম উইলবি ফ্রি, ওয়ান টু থ্রি ফোর জায়োনিজম নো মোর, জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস, ইনকিলাব ইনকিলাব, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ, ইন্তিফাদা ইন্তিফাদা জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ, ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন, হামাসের যোদ্ধারা লও লও লও সালামসহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায়।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে জাকসুর জিএস মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘ইসরাইল এই মানবতার চির দুশমন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইল ৬৬ হাজার ২২৫ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। যারা মানবতার বুলি আওড়ায়, ফিলিস্তিনের বিষয়ে কোনো কথা বলে না। আমরা বিভিন্ন দেশের ছাত্রসংগঠনের সাথে কথা বলেছি, তারা বলেছে জনমত গঠনই ফিলিস্তিনের মুক্তি এনে দিতে পারে।’
জাকসুর ভিপি আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, ‘পৃথিবীর সবচেয়ে বর্বর ও নৃশংস রাষ্ট্র ইসরাইল। বিশ্ব মানবতার জন্য যারা কাজ করেন তারা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নিয়ে গাজা অভিমুখে গেলে বর্বর ইসরাইল বাহিনী সেগুলো আটক করে। আমরা বাংলাদেশ থেকে এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মানবিক সহায়তা যাত্রায় সংহতি জানাচ্ছি। এছাড়া গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা আটকের প্রতিবাদ জানাই।’
মিছিলে সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘অত্যন্ত বেদনা নিয়ে আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি। অভুক্ত গাজাবাসীর আহারের জন্য গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় যে মানবিক সহায়তা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা অত্যাচারী ইসরাইলি বাহিনী আটক করেছে। এই পৃথিবীর এক নম্বর সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হলো ইসরাইল এবং তার প্রধান হলো নেতানিয়াহু। ইসরাইলকে যারা সহায়তা করছে তারাও এই মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য সমানভাবে দায়ী। আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাই।’