৪৭তম বিসিএসের সময় পরিবর্তনের দাবিতে বাকৃবিতে রেল অবরোধ

এটি আমাদের কোনো অযৌক্তিক দাবি নয়। পিএসসিকে এটি মানতেই হবে।

মো: লিখন ইসলাম, বাকৃবি

Location :

Mymensingh
৪৭তম বিসিএসের সময় পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের রেল অবরোধ
৪৭তম বিসিএসের সময় পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের রেল অবরোধ |নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) দ্বারা ৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সময়সূচিকে অবাস্তব ও বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পরীক্ষার্থীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বার মোড়ে রেললাইন অবরোধ করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ফলে ময়মনসিংহের রুটে আড়াই ঘণ্টা ধরে রেলযোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এখনো রেল লাইন অবরোধ অব্যাহত রয়েছে।

শনিবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মিছিল নিয়ে আব্দুল জব্বার মোড়ে রেললাইন সংলগ্ন এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। এরপর বিকাল ৫টার দিকে রেল অবরোধের উদ্দেশে রেললাইনে অবস্থান নেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা, ‘সবাই পায় ছয় মাস, আমরা কেন দুই মাস’, ‘এক দুই তিন চার, পিএসসি তুই স্বৈরাচার’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’সহ নানা স্লোগান দেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে বৈষম্য নিরসনের জন্য যে জুলাই গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল, সেই চাকরির ক্ষেত্রেই আবার নতুন বৈষম্যের উদ্ভব হয়েছে। আগের যেসব বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত সময় দেয়া হতো সেখানে এ বছর শুধু নতুন ব্যাচের জন্য মাত্র ২ মাস সময় দেয়া হয়েছে। যা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এ সময় পরিবর্তনের দাবিতে আমাদের ভাইয়েরা অনশন করলেও পিএসসি সেটি নজরে নিচ্ছে না। মূলত প্রতিষ্ঠানটি আমাদের সাথে স্বৈরাচারী আচরণ করছে। আমরা আন্দোলন করতে চাই না, পরীক্ষায় বস‌তে চাই।’

আরেক শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান সজীব বলেন, ‘এটি আমাদের কোনো অযৌক্তিক দাবি নয়। পিএসসিকে এটি মানতেই হবে। দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে মিল রেখে আমাদের এ রেল অবরোধ কর্মসূচি। পিএসসি যদি দাবি না মানে তাহলে আমরা আরো কঠোর অবস্থানে যাব।’

এ বিষয়ে বাকৃবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. আবদুল আলীম বলেন, ‘বিসিএস পরীক্ষার বিষয়টি সম্পূর্ণ সরকারি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ধরনের হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। বিসিএস সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে শিক্ষার্থীদের গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে একটি সুন্দর সমঝোতায় পৌঁছানোর আহ্বান জানাই। শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুরোধ, এমন কোনো কর্মসূচি না নিতে যাতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি হয়।’