বিডা চেয়ারম্যান

বাংলাদেশের বাজেটের সবচেয়ে বেশি ব্যয় ঋণের সুদ পরিশোধে

‘সরকারের ট্যাক্স আয়ের প্রায় অর্ধেকই সুদ পরিশোধে ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে আর্থিক ব্যবস্থাপনায় বাড়তি চাপ তৈরি হচ্ছে। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা প্রায়ই ট্যাক্স বেশি হওয়া নিয়ে অভিযোগ করেন। তবে ট্যাক্স মূলত মুনাফার ওপর নির্ভর করে, তাই সবসময় ট্যাক্স কমানোর দাবি যৌক্তিক নয়।’

হোসাইন ইকবাল, শাবিপ্রবি
কথা বলছেন বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (বিডা) চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী
কথা বলছেন বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (বিডা) চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী |ছবি : নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশের বাজেটে সবচেয়ে বেশি খরচ হচ্ছে বিদেশী ঋণ পরিশোধে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (বিডা) চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ‘বিনিয়োগ আকর্ষণে জ্ঞানভিত্তিক ইকোসিস্টেম : পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাবনা ও ভূমিকা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি আরো জানান, সাধারণ ধারণা হলো সরকারের অপারেটিং বাজেটে সবচেয়ে বেশি খরচ হয় বেতন, প্রশাসন বা প্রতিরক্ষা খাতে। কিন্তু বাস্তবে সবচেয়ে বড় ব্যয়ের খাত হচ্ছে ঋণের সুদ পরিশোধ। বহু বছর ধরে দেশী-বিদেশী সংস্থার কাছ থেকে নেয়া বিভিন্ন ঋণের কারণে সরকারের অপারেটিং ব্যয়ের বড় অংশ এখন সুদ পরিশোধেই চলে যাচ্ছে।

বিডা চেয়ারম্যান বলেন, সরকারের ট্যাক্স আয়ের প্রায় অর্ধেকই সুদ পরিশোধে ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে আর্থিক ব্যবস্থাপনায় বাড়তি চাপ তৈরি হচ্ছে। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা প্রায়ই ট্যাক্স বেশি হওয়া নিয়ে অভিযোগ করেন। তবে ট্যাক্স মূলত মুনাফার ওপর নির্ভর করে, তাই সবসময় ট্যাক্স কমানোর দাবি যৌক্তিক নয়।

তিনি আরো বলেন, গবেষণা ও উদ্ভাবনে কর ছাড় বা ট্যাক্স ডিডাকশন সুবিধা চালু করা হলে বেসরকারি খাত গবেষণায় আগ্রহী হবে। প্রতিষ্ঠানগুলো গবেষণায় অর্থ দিলে সেটি কর থেকে বাদ দেয়া গেলে সেই অর্থই বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা খাতকে এগিয়ে নেবে। এতে একদিকে একাডেমিয়া উপকৃত হবে, অন্যদিকে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিও লাভবান হবে।