বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলে দায়িত্বপ্রাপ্ত টিমের বিরুদ্ধে অনিয়ম করে ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে ভোটার তালিকা করার অভিযোগ উঠেছে। শাখা ছাত্রদলের একাধিক নেতাকর্মী এ অভিযোগ তুলে অস্তোষ প্রকাশ করেছেন।
নেতাকর্মীদের অভিযোগ, যোগ্যতা উপেক্ষা, পক্ষপাতমূলক আচরণ, নিয়মবহির্ভূত ভোটার তালিকা তৈরি এবং বিশেষ সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে দায়িত্বপ্রাপ্ত টিম পছন্দের প্রার্থীদের এগিয়ে দিতে কাজ করছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল সূত্রে জানা যায়, গত ২২ মে কমিটি গঠনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রথম আলোচনা সভা হয়। এরপর ২৯ জুলাই থেকে সদস্য ফরম পূরণ শুরু হয় এবং ২৩ সেপ্টেম্বর ভাইভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ২০২৪ সালের ৮ অক্টোবর পুরনো কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। ২০১৬ সালে প্রথম কমিটি গঠিত হলেও ২০২২ সালে তা পূর্ণাঙ্গ হয়। দীর্ঘ আট বছর পর কমিটি বিলুপ্তির পর নতুন কাঠামো তৈরির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা ছিল যে ৫ আগস্টের আগে বিশ্ববিদ্যালয় ব্যানারে অন্তত পাঁচটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ প্রমাণ থাকতে হবে। কিন্তু বাছাই প্রক্রিয়ায় সেই নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
নেতাকর্মীদের দাবি, দায়িত্বপ্রাপ্ত টিম ৪০ জনের বেশি ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে বলে অভিযোগ করছে। এতে আন্দোলন-সংগ্রামে সরাসরি যুক্ত এবং নির্যাতনের শিকার প্রকৃত ছাত্রদল কর্মীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ছাত্রদলের পাঁচটি গ্রুপ সক্রিয় থাকলেও এর মধ্যে চারটি গ্রুপ নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ববি শাখা ছাত্রদলের সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক জাহিদ সাকিন বলেন, ‘আমরা ১০-১২ জন সবসময় মিছিল-মিটিং করেছি ও নির্যাতিত হয়েছি। এখন যারা আমাদের ওপর হামলা-মামলা চালিয়েছে, তারাই ভোট দিয়ে নেতৃত্ব নির্বাচিত করবে—এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। দায়িত্বপ্রাপ্ত টিম একটি নীলনকশা অনুযায়ী তাদের পছন্দের প্রার্থীকে জিতানোর চেষ্টা করছে।’



