শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) উদযাপিত হয়েছে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সকালে প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। ভিসি ড. এ. এম. সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে র্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মিনি অডিটোরিয়ামে গিয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ভিসি অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রশিদ ও সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক মুহ. মিজানুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদির।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভিসি বলেন, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আমাদের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এই দিবসের মূল নায়ক। দীর্ঘ ১৭ বছর এ দিবসটি পালনের সুযোগ দেওয়া হয়নি, কিন্তু ইতিহাস কখনো মুছে ফেলা যায় না।
তিনি আরো বলেন, জিয়া প্রেসিডেন্ট ছিলেন একজন সৎ ও দেশপ্রেমিক নেতা। যিনি দেশের মানুষের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। আমাদের নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানতে হবে, কারণ ইতিহাস জানার মাধ্যমেই দেশপ্রেম জাগ্রত হয়।
প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের জন্য স্বনির্ভর ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের যে দর্শন উপস্থাপন করেছিলেন, তা আজও সমান প্রাসঙ্গিক। তাঁর রাষ্ট্রদর্শনের তিনটি মূলনীতি—বহুদলীয় গণতন্ত্র, স্বয়ংসম্পূর্ণ জাতীয়তাবাদ এবং স্বনির্ভর বাংলাদেশ—বাস্তবায়ন করতে পারলে দেশ দ্রুতই উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, স্বাধীনতার পর মানুষের যে স্বপ্ন ছিল, তা বাস্তবায়নে ব্যর্থতা ও দমননীতি থেকেই ১৫ আগস্টের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনেন। ৭ নভেম্বর প্রমাণ করে, শ্রমিক-কৃষক-জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা সম্ভব। ঠিক তেমনি জুলাই বিপ্লবও জাতির ঐক্যের আরেক প্রতীক।
'অনুপ্রেরণায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস: বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখার পাঠ' শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আশরাফ সিদ্দিকী ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবুল ফজল মোহাম্মদ জাকারিয়া।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আশরাফ উদ্দিন, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. খায়রুল ইসলাম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহ মো. আতিকুল হক, পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. গোলাম আলী হায়দার চৌধুরী, ছাত্রদল সভাপতি রাহাত জামান ও সাধারণ সম্পাদক নাঈম সরকার প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে বাদ জুমা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।



