বাকৃবি ক্যাম্পাসের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব জেলা প্রশাসকের হাতে যাচ্ছে

বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সাংবাদিকদের সাথে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. সোনিয়া সেহেলী।

মো: লিখন ইসলাম, বাকৃবি
নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) চলমান আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আজ (বুধবার) সিন্ডিকেট সভা হওয়ার কথা থাকলেও তা অনুষ্ঠিত হয়নি। সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি এখন জেলা প্রশাসকের হাতে চলে যাবে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব আর আমাদের হাতে থাকবে না।

বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সাংবাদিকদের সাথে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. সোনিয়া সেহেলী।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক মো: শহীদুল হক বলেন, সিন্ডিকেট না হওয়ার ফলে গতকাল (মঙ্গলবার) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাড়ে চার ঘণ্টা আলোচনার পরে যে সিদ্ধান্তগুলো এসেছিল তার কিছুই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, ‘সিন্ডিকেট মিটিংয়ের জন্য একটি লিখিত ডকুমেন্ট প্রয়োজন। সেটির জন্যই শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনার চেষ্টা করা হয়েছে। তারা কেবল কালক্ষেপণ করেছে এবং একঘণ্টা যাবত তাদের সাথে মোবাইলে ফোনে কথা বলার পরেও তারা আসেননি। এই পরিস্থিতে আমরা ভিসির কাছে যৌথ বিবৃতি দিতে পারিনি। এখন যদি শিক্ষার্থীরা কোনো কর্মসূচিতে যান এবং ভাংচুর বা এরকম কিছু করেন সেক্ষেত্রে বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন তদারকি করবে। বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু বন্ধ তাই স্থানীয় প্রশাসন আইন-শৃঙ্খলার বিষয়টি দেখবেন।’

এ বিষয়ে আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থী এহসানুল হক হিমেল বলেন, ‘গতকাল আমরা ৬১ জন শিক্ষার্থী শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করেছি। এরপরেও আজকে তারা আমাদের মাত্র ৫ জনকে যৌথ বিবৃতির জন্য যেতে বলেছেন। গতকালের দীর্ঘ আলোচনায় আমাদের দাবি ও সিদ্ধান্ত সবই আমরা উল্লেখ করেছি এবং আমাদের স্বাক্ষর ও দিয়েছি। এতকিছুর পরেও কেন আবার পাঁচজনকে লিখিত দিতে হবে এটাই বোধগম্য নয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘গতকালের সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল যে- আজকে দুপুর ১২টার মধ্যে ভিসি হল বন্ধের নোটিশ প্রত্যাহার করবেন। পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের প্রশাসনিক এবং শিক্ষাগত কোনো হয়রানি করা হবে না- এই মর্মে তিনি লিখিত নথি প্রকাশ করবেন। কিন্তু এর কিছুই হয়নি। শিক্ষকবৃন্দ আমাদের কোনোরকম সহযোগিতা করছেন না। আমাদের একক ডিগ্রির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত এখনও পাইনি। আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি কী হবে সেটা নিয়ে অনুষদের সকলের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’