রাত পোহালেই চাকসু নির্বাচন

পুরো ক্যাম্পাসে র‍্যাব, এপিবিএনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীরা সতর্ক অবস্থানে আছেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত সিল্ড থাকবে পুরো ক্যাম্পাস।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
চাকসু ভবন
চাকসু ভবন |সংগৃহীত

রাত পোহালেই (১৫ অক্টোবর) হতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত চাকসু নির্বাচন। নির্বাচনের আগের রাতে ক্যাম্পাসে বিরাজ করছে নীরবতা। টহল দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

এদিকে, মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাত ১০টা নাগাদ জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেছে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ‘সম্প্রীতি শিক্ষার্থী জোট’।

এ সময় প্যানেলের ভিপি প্রার্থী ইব্রাহিম রনি বলেন, ‘আমরা প্রশাসনের কাছে দু’টি দাবিকে সবচেয়ে বেশি হাইলাইট করেছিলাম। প্রথমটি হলো, নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো বহিরাগত যেন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে না পারে। কিন্তু আজকেও ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ করতে দেখেছি। দুই নাম্বার দাবি হলো, আমরা একটি কুইক রেসপন্স টিম প্রস্তুত করার কথা বলেছি। নির্বাচনের যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কাজ করবে। আমরা আশা করছি, প্রশাসন এ ব্যাপারে আরো সতর্ক হবে।’

পুরো ক্যাম্পাসে র‍্যাব, এপিবিএনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীরা সতর্ক অবস্থানে আছেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত সিল্ড থাকবে পুরো ক্যাম্পাস। ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলাসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ন্ত্রণের জন্য পাঁচটি অনুষদে পাঁচজন ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। কেন্দ্রগুলোর বাইরে আরো চারজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট থাকবে। পুলিশ আর র‍্যাবের পাশাপাশি এপিবিএন, বিজিবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বাহিনী, রোভার স্কাউট, বিএনসিসি সহ ১৭০০ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকবেন।

বুধবার ও বৃহস্পতিবার স্থগিত থাকবে ক্লাস ও পরীক্ষা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদের ১৫টি কেন্দ্রের ৬০টি কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে ভোট। থাকবে ৩০০ টি স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ও ৭০০ টি গোপন বুথ। ব্যালট বাক্সগুলো আজই বিভিন্ন কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। ভোট গ্রহণ থেকে শুরু করে গণনা পর্যন্ত ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে ১৪টি এলইডি স্ক্রিনে লাইভ সম্প্রচার করা হবে।

শিক্ষার্থীরা যেন ক্যাম্পাসে এসে ভোট দিতে পারে তার জন্য বাড়ানো হয়েছে শাটলের ২টি ট্রিপ ও দেয়া হয়েছে ১৫টি বাস। ৩৬ বছরের দাঁড়গোড়ায় এসে প্রত্যাশিত এই নির্বাচনের জন্য সতর্ক অবস্থানে আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বাহিনী। একটি সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্ন নির্বাচনের প্রত্যাশা করছেন শিক্ষার্থীরা।