নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হওয়ার সাত মাস পেরিয়ে গেলেও পুরস্কার দেয়া হয়নি বিজয়ী অ্যাথলেটরা। ঘটনায় বাজেট শঙ্কটের কথা জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় নোবিপ্রবির ২০২৪-২৫ সেশনের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতায় ১৫ ইভেন্টের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষকরা। দীর্ঘ একমাস ধরে চলে দৌড়, উচ্চ লাফসহ বিভিন্ন খেলাধুলা। পরে প্রতিযোগিতার ফলাফল অনানুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
তবে দীর্ঘদিনের কঠোর অনুশীলনের পর তীব্র প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ার প্রায় ৭ মাস পরেও কোনো পুরস্কার বুঝে পাননি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
একইসাথে তারা অভিযোগ করেন, বিষয়টি নিয়ে শরীরচর্চা শিক্ষা বিভাগে যোগাযোগ করলে তারা নোবিপ্রবির ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ হানিফের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। কিন্তু এরপরেও কোনো আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যায়নি।
বিজিই বিভাগের শিক্ষার্থী জাহেদুল হক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘তিনটি প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এগুলা কিছুই না। সামান্য পুরস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের বাজেট হয় না। এদিকে এ বিষয়ে একাধিকবার শরীরচর্চা ডিপার্টমেন্টে গেলে তারা ট্রেজারারের কাছে যেতে বলেন।
শরীরচর্চা ও শিক্ষা বিভাগের উপ-পরিচালক সঞ্জীব কুমার দে জানান, ‘আমাদের বাজেট দেয়া হয়নি, যার কারণে আমরা পুরস্কার বিতরণ করতে পারিনি। প্রশাসন থেকে বাজেট চেয়েছিলাম কিন্তু তারা সময় শেষ হয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।’
তিনি আরো জানান, ‘আমরা চেয়েছিলাম খেলার সময় শুরু হয়ে যাওয়ায় আগে খেলা হোক। পরে খেলা শুরু হলে আমরা বাজেটের জন্য প্রশাসনের কাছে চিঠি পাঠাই, কিন্তু পরে আর আমরা বাজেটটি পাইনি। যার কারণে খেলোয়াড়দের পুরস্কার দেয়া সম্ভব হয়নি।’
বিভাগটির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক মো: রুহুল কবির বলেন, ‘আমি গত সপ্তাহে এখানে জয়েন করেছি। আমি চেষ্টা করছি এ সমস্যাগুলো সমাধান করার। আমাদের বেশ কিছু ফাইল পেন্ডিংয়ে আছে। আর প্রতিযোগিতার এতদিন পরেও পুরস্কার বিতরণ না হওয়ার ঘটনাটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা বিষয়টি দেখবো এবং এটা নিয়ে কি করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
এ বিষয়ে জানতে নোবিপ্রবি ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ হানিফের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ভিসি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, ‘আমাদের বাজেটে কিছু ঘাটতি এবং গরমিল থাকায় এখানে বাজেট দেয়া সম্ভব হয়নি। আমি শরীরচর্চা ও শিক্ষা বিভাগের নতুন চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলব। আর আগের কোনো খাতে ডিউ থাকলে আমরা সেটাকে নতুন বাজেট দিয়ে টেনে এনে ক্লোজ করতে চাচ্ছি। এ বিষয়ে ফাইলগুলো দেখলে বিস্তারিত বলতে পারব।’