বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হল শাখার নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে— কমিটিতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের একাধিক পদধারী নেতা ও সক্রিয় কর্মীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এমনকি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একদফা দাবির বিরোধিতা করা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে ব্যঙ্গ করা ব্যক্তিকেও হল কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হয়েছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদে মধ্যরাতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি আহ্বায়ক কমিটি দিয়েছে ছাত্রদল। এসব কমিটিতে ৫৯৩ জন শিক্ষার্থীকে স্থান দেয়া হয়েছে। এসব কমিটি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের অনেক নেতাও অভিযোগ করেছেন। তাঁদের ভাষ্যমতে, কমিটিতে ‘ত্যাগী ও পরীক্ষিত’ নেতাদের বাদ দিয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পছন্দের কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ছাত্রদলের হল কমিটিগুলোতে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক সাবেক নেতা–কর্মী পদ পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি মাসুম বিল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক নূর আলম ভূঁইয়াকে রাখা হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার সকালে নতুন হল কমিটিগুলো ঘোষণার পর রাতে ছয়জনকে বহিষ্কার করেছে ছাত্রদল।
তারা হলেন ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হল কমিটির আহ্বায়ক মোসাদ্দেক আল হক ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিবুল হাসান, শামসুন নাহার হল কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নিতু রানী সাহা, জিয়াউর রহমান হল কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক রাজু শেখ এবং হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল কমিটির সদস্য আহমেদ জাবির মাহাম ও এন এস সায়মন।
এক বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রদল বলেছে, অব্যাহতি দেয়া ছয়জনের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এ জন্য তাঁদের সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।