ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) গবেষণা নীতি বাতিল ও নতুন নীতিমালা প্রনয়ন করে পুনরায় ভর্তি নিশ্চিতসহ তিন দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদ।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। পরে ৩ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি ভিসির কাছে হস্তান্তর করেন তারা।
তাদের দাবিগুলো হলো- পতিত স্বৈরাচার প্রশাসনের প্রণীত গবেষণা নীতি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রণীত নীতিমালার সাথে সমন্বয় করে ইবির নতুন গবেষণা নীতি প্রণয়ন করতে হবে এবং পুনরায় এম.ফিল ও পিএইচ.ডি ভর্তির সুযোগ দিতে হবে।
মানববন্ধনে শাখা সভাপতি নূর আলম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় ভর্তির যোগ্যতা ন্যূনতম ৩.০০ ও ক্ষেত্র বিশেষে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে তা ৩.২৫ সিজিপিএ রাখা হয়েছে। অথচ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয়ভিত্তিক পার্থক্য বিবেচনা না করে অযৌক্তিকভাবে সর্বনিম্ন ৩.৫০ সিজিপিএ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এটি গবেষণার ক্ষেত্রকে সীমাবদ্ধ করে শিক্ষার্থীদের ওপর অযথা বৈষম্য চাপিয়ে দেয়ার শামিল। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এ সময় সংগঠনটির সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হাসান, সভাপতি নূর আলম ও সাধারণ সম্পাদক আহমাদ গালিব, সহসভাপতি মাজিদুল ইসলাম উজ্জ্বল, সাংগঠনিক সম্পাদক তাহমিদ হাসানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ভিসি অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, গবেষণায় ভর্তির যোগ্যতার মানদণ্ডে সিজিপিএ কমানোর জন্য আমরা পূর্বেই একটা কমিটি গঠন করেছিলাম। তারা কাজ করছে। অর্ডিন্যান্স পরিবর্তনের জন্যও আমাদের কাজ চলছে। দাবিগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।