এসএসসি’র ফল পুনঃনিরীক্ষণ

ঢাকা বোর্ডে ২৯৪৬ পরীক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন

প্রথম প্রকাশিত ফলাফলে ফেল করেছিল, এমন ২৯৩ জন পরীক্ষার্থী পাস করেছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ফেল থেকে সরাসরি জিপিএ-৫ পেয়েছে তিনজন
ফেল থেকে সরাসরি জিপিএ-৫ পেয়েছে তিনজন |ইন্টারনেট

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের (খাতা চ্যালেঞ্জ) ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বোর্ডে দুই হাজার ৯৪৬ জন পরীক্ষার্থীর ফলাফলে পরিবর্তন এসেছে। অর্থাৎ, প্রথম প্রকাশিত ফলাফলের চেয়ে পুনঃনিরীক্ষণে তারা ভালো ফলাফল করেছেন।

আজ রোববার সকাল ১০টায় এ ফল প্রকাশ করা হয়। পরে ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবিরের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়।

এতে দেখা যায়, এবার ঢাকা বোর্ডে ৯২ হাজার ৮৬৩ জন শিক্ষার্থী মোট দুই লাখ ২৩ হাজার ৬৬৪টি খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেন। তার মধ্যে দুই হাজার ৯৪৬ জনের ফলাফলে পরিবর্তন এসেছে। ১০ জুলাই প্রথম প্রকাশিত ফলাফলে ফেল করেছিল, এমন ২৯৩ জন পরীক্ষার্থী পাস করেছে।

আবার ফেল থেকে সরাসরি জিপিএ-৫ পেয়েছে তিনজন। তারা তিনজনসহ নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ২৮৬ জন। বাকিদের ফলাফলে গ্রেড পরিবর্তন হয়েছে। কেউ বি গ্রেড থেকে এ-মাইনাস, কেউ এ-মাইনাস থেকে এ গ্রেড পেয়েছেন।

অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, অনেক সময় একজন পরীক্ষার্থী ভালো নম্বর পেলেও তা হিসাব কষতে বা নির্ধারিত জায়গায় বসাতে ভুল হতে পারে। খাতা যারা দেখেন, তারাও তো মানুষ। তবে আমরা কেউই এ ধরনের ভুল ও ত্রুটিপূর্ণ ফলাফল প্রত্যাশা করি না। এজন্য যেসব শিক্ষক খাতা দেখায় ভুল বা অবহেলা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঢাকা বোর্ড সূত্র জানায়, পুনঃনিরীক্ষণ প্রক্রিয়ায় খাতা নতুন করে মূল্যায়ন করা হয় না। বরং নম্বর সঠিকভাবে যোগ হয়েছে কি না, কোনো প্রশ্নের নম্বর বাদ পড়েছে কি না এবং ওএমআর শিটে নম্বর সঠিকভাবে উঠেছে কি না- এসব যাচাই করে প্রয়োজনে সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়।