পাবিপ্রবিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের দুইজন আটক

মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কল্যাণ রায় শুভকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবং সন্ধ্যা ৭টার দিকে নাইম জিসানকে পাবনার শালগাড়িয়ার তালবাগান এলাকা থেকে আটক করা হয়।

বি এম মিকাইল হোসাইন, পাবিপ্রবি

Location :

Pabna
ছাত্রলীগকর্মী কল্যাণ শুভ এবং নাইম জিসান (বাঁ থেকে)।
ছাত্রলীগকর্মী কল্যাণ শুভ এবং নাইম জিসান (বাঁ থেকে)। |নয়া দিগন্ত

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) শাখার নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কল্যাণ রায় শুভ এবং নাইম জিসান নামে দু’কর্মীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কল্যাণ রায় শুভকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবং সন্ধ্যা ৭টার দিকে নাইম জিসানকে পাবনার শালগাড়িয়ার তালবাগান এলাকা থেকে আটক করা হয়।

জানা গেছে, তারা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মাসুদ রানা আওয়ামী সরকারের অনুসারী ছিলেন। তারা ইতিহাস বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীরা জানায়, বিকেলে পরীক্ষা শেষ করে বের হলে কল্যাণ রায় শুভকে আটক করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। কল্যাণ রায় শুভের দেয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ নাইম জিসানের মেসে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেন।

শিক্ষার্থীরা আরো জানায়, কল্যাণ রায় শুভ এবং নাইম জিসান দু’জনেই বিগত সরকারের সময় ছাত্র নির্যাতনের সাথে জড়িত ছিলেন। ২০২৩ সালে রমজানে হলে তিন শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের সাথে জড়িত ছিলেন। আজ তাদের দু’জনের পরীক্ষা ছিল। এর মধ্যে পরীক্ষা শেষে কল্যাণ রায় শুভকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশ নাইম জিসানকে ধরার জন্য তার মেসে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান খান জানান, ‘বিকেলে কয়েকজন শিক্ষার্থী কল্যাণ রায় শুভ নামের এক শিক্ষার্থীকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসেন। ওরা ঐ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আমাদের কাছে আগে নির্যাতনের অভিযোগ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেহেতু ফৌজদারি বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না তাই আমরা বিষয়টা পাবনা সদর থানাকে অবগত করি। থানা থেকে পুলিশ এসে তাকে নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ আরেকজনকে আটক করেছে শুনেছি। এখন পুলিশ বিষয়টি দেখবে।’

এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম বলেন, ‘ছাত্রলীগের দু’কর্মীকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। যে শিক্ষার্থীরা তাদের আটক করেছেন তারা আমাদের জানিয়েছেন ওই দু’ছাত্রলীগকর্মী শিক্ষার্থী নির্যাতনের সাথে জড়িত ছিলেন। কিন্তু আমরা এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’