প্রতিবন্ধী দিবসে মুসা মিয়া বুদ্ধি বিকাশ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পান্নার বিশেষ সম্মাননা লাভ

জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের আয়োজনে শুক্রবার ঢাকায় আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে পান্না আক্তারকে বিশেষ এ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক
উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ পান্না আক্তারের হাতে ক্রেস্ট, সনদপত্র এবং ১০ হাজার টাকার অর্থ পুরস্কার তুলে দেন
উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ পান্না আক্তারের হাতে ক্রেস্ট, সনদপত্র এবং ১০ হাজার টাকার অর্থ পুরস্কার তুলে দেন |নয়া দিগন্ত

জাহেদী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত মুসা মিয়া বুদ্ধি বিকাশ বিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থী পান্না আক্তার বিদ্যালয়ের জন্য বিশেষ সম্মান বয়ে এনেছেন।

৩৪তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস এবং ২৭তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস-২০২৫ উপলক্ষে তিনি ‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন সফল ব্যক্তি’ ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়েছেন বলে জাহেদী ফাউন্ডেশন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।

জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের আয়োজনে শুক্রবার ঢাকায় আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে পান্না আক্তারকে বিশেষ এ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ পান্না আক্তারের হাতে ক্রেস্ট, সনদপত্র এবং ১০ হাজার টাকার অর্থ পুরস্কার তুলে দেন।

এর আগে মুসা মিয়া বুদ্ধি বিকাশ বিদ্যালয়ের আরেক কৃতি শিক্ষার্থী নাঈমুর রহমান সজীব ২০২২ সালে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন সফল ব্যক্তি ক্যাটাগিরিতে নির্বাচিত হয়েছেন। মুসা মিয়া বুদ্ধি বিকাশ বিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থীরা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ধারবাহিকভাবে সাফল্য নিয়ে আসছেন।

২০২৩ সালে জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠিত ‘স্পেশাল অলিম্পিকস’ এ বাংলাদেশের পক্ষে পান্না আক্তার তিনটি স্বর্ণ এবং ইসরাত জাহান ঝুমুর একটি ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করে। ২০২৫ সালে মালেশিয়ায় অনুষ্ঠিত ‘স্পেশাল অলিম্পিকস এশিয়া প্যাসেফিক ব্যাডমিন্টন’-এ বাংলাদেশ দলের হয়ে নাঈমুর রহমান সজীব একটি স্বর্ণ এবং একটি রৌপ্য পদক এবং পান্না আক্তার তিনটি স্বর্ণ পদক অর্জন করে।

ঝিনাইদহের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের শিক্ষা এবং উন্নয়নের লক্ষ্যে সম্পূর্ণ অবৈতনিকভাবে পরিচালিত জাহেদী ফাউন্ডেশনের অর্থায়ন ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে মুসা মিয়া বুদ্ধি বিকাশ বিদ্যালয় দীর্ঘদিন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শুধুমাত্র বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের শিক্ষা নয় বরং তাদেরকে সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে নিবিড় তত্ত্বাবধানে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালিত হয় যার ফলস্বরুপ বর্তমানে অধ্যয়নরত দু’ শিক্ষার্থী বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন সফল ব্যক্তি ক্যাটাগিরিতে নির্বাচিত হয়েছেন।