চাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনার প্রস্তুতি

দীর্ঘ ৩৫ বছর পর সপ্তমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো চাকসু নির্বাচন। ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এ নিয়ে মাত্র ৭টি নির্বাচন হলো। তিন যুগেরও বেশি সময় পর শিক্ষার্থীদের হাতে ভোটাধিকার ফিরে আসায় পুরো ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। সর্বশেষ ১৯৯০ সালে চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

চাকসুর ভোটগ্রহণ শেষে গণনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা
চাকসুর ভোটগ্রহণ শেষে গণনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা |সংগৃহীত

চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। তবে কেন্দ্রের ভেতরে অপেক্ষমাণ ভোটার থাকায় পুরোপুরি শেষ হতে ৪টা ৪০ মিনিটে গড়ায়।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, ভোটগ্রহণ শেষ। এখন অপেক্ষা গণনা ও ফল ঘোষণার। ভোট ঘিরে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভোট গণনায় অযথা সময় নষ্ট হবে না। প্রিসাইডিং কর্মকর্তার হাতে ছবি সম্বলিত ভোটার তালিকা রয়েছে। তারা মিলিয়ে দেখছেন। তাই জাল ভোট দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত কোনো ধরনের অভিযোগ পাইনি।

তিনি আরও বলেন, যথাসময়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীরা সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে ভোট দিয়েছেন। ডাকসু, জাকসুর মতো ভোট গণনায় বিলম্ব হবে না। কারণ আমরা ওএমআর মেশিনে ভোট গণনা করব। এটা আমাদের স্বকীয়তা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৫টি হলের জন্য নির্ধারিত ১৫টি কেন্দ্রে। মোট ৬০টি কক্ষে ৬৮৯টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৯০৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ১৩টি প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলিয়ে ৪১৫ জন এবং হল ও হোস্টেল সংসদে ৪৯৩ জন।

১৩টি প্যানেলের মধ্যে রয়েছে- ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, স্বতন্ত্র, বাম, বৈচিত্র্য ঐক্য, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, ও সুফীপন্থি শিক্ষার্থীদের ‘অহিংস শিক্ষার্থী ঐক্য’।

দীর্ঘ ৩৫ বছর পর সপ্তমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো চাকসু নির্বাচন। ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এ নিয়ে মাত্র ৭টি নির্বাচন হলো। তিন যুগেরও বেশি সময় পর শিক্ষার্থীদের হাতে ভোটাধিকার ফিরে আসায় পুরো ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। এর আগে ১৯৭০, ১৯৭২, ১৯৭৪, ১৯৮১, ১৯৯০ সালসহ এ পর্যন্ত মোট ছয় বার চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।