ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

উচ্চশিক্ষার বিস্তার ও ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গঠনে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভূমিকা প্রশংসনীয়

এতে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দিচ্ছেন ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ
সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দিচ্ছেন ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ |সংগৃহীত

উচ্চশিক্ষার বিস্তার ও ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরিতে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ধারাবাহিক ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘এই বিদ্যাপীঠ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মকে উচ্চশিক্ষার বিস্তারের মধ্য দিয়ে দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে।’

শনিবার (২২ নভেম্বর) সকাল ১১টায় বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের এক্সপো ভিলেজে আয়োজিত স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সমাবর্তন ২০২৫-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এতে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ফারাহনাজ ফিরোজ এবং ভারপ্রাপ্ত ভিসি প্রফেসর ড. ইউনুছ মিয়া। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ আব্দুল মতিন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ স্নাতকদের উদ্দেশে বলেন, ‘নিজের সামর্থ্য, দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাসের ওপর আস্থা রাখুন। জয়ের পরিকল্পনা করুন, জয়ের জন্য প্রস্তুত হোন এবং জয়কে প্রত্যাশা করুন। জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের এই যাত্রায় আজকের দিনটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। অধ্যবসায়, নিষ্ঠা ও বুদ্ধিবৃত্তিক কৌতূহল ভবিষ্যতে দেশকে এগিয়ে নিতে বড় ভূমিকা রাখবে।’

কর্মজীবনে প্রবেশের আগে সাহসের সাথে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ এবং সুযোগ কাজে লাগানোর আহ্বান জানান তিনি।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘স্টামফোর্ড থেকে অর্জিত জ্ঞানকে বাস্তব জীবনে মূল্যবোধের সাথে মিলিয়ে কাজে লাগাতে হবে। আজকের এই দিন শুধু শিক্ষাজীবনের সমাপ্তি নয়; এটি অধ্যবসায়, বুদ্ধিবৃত্তিক অন্বেষণ ও উৎকর্ষ অর্জনের নিরলস প্রচেষ্টার উজ্জ্বল স্বীকৃতি। সমাবর্তন হলো শিক্ষাঙ্গন থেকে বাস্তব জীবনের বিস্তৃত জগতে প্রবেশের এক সেতুবন্ধন। আপনাদের সততা, সহমর্মিতা ও উদ্ভাবনী চিন্তার চর্চা যেন ভবিষ্যতের দিনগুলোতেও বজায় থাকে।’

সমাবর্তনে ৫টি অনুষদ ও ১৪টি বিভাগ থেকে মোট ১ হাজার ৪০৭ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। সর্বোচ্চ সিজিপি অর্জনের জন্য পাঁচ অনুষদ থেকে মোট ১০ জন গ্র্যাজুয়েটকে চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক এবং ৩০ জনকে ভাইস চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ও শিক্ষকবৃন্দ, দেশের বুদ্ধিজীবী, সরকারি–বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান, সদস্য, ভিসি, প্রো-ভিসি ও আমন্ত্রিত গণমাধ্যমকর্মীরা।

ওয়ারফেজ, বেঙ্গল সিম্ফনি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীদের মনোজ্ঞ সংগীত পরিবেশনায় সমাবর্তন ২০২৫–এর সমাপ্তি ঘটে। বিজ্ঞপ্তি