চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেছেন, লেখক হওয়ার সহজাত গুণ সকলের মধ্যে রয়েছে। সেই গুণকে চর্চার মাধ্যমে জাগিয়ে তুলতে হয়। সাহিত্য হলো জীবনের দর্পণ। সাহিত্য সমাজ, রাষ্ট্রের আয়না স্বরূপ। ইতিহাস বিকৃতি থেকে বাঁচাতে পারে সাহিত্য এবং লেখকদের লেখনীশক্তি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় লেখক পরিষদের উদ্যাগে ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় লেখক সম্মেলন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে লেখক সম্মেলনের শুভউদ্বোধন ঘোষণা করেন চবি ভিসি।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় চবি ভিসি সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে দীনবন্ধু মিত্র, কাজী নজরুল ইসলামরা যেভাবে তাদের সাহিত্যে তৎকালীন সমাজের চিত্র তুলে ধরেছেন, সেটা চাইলেই কেউ বিকৃত করতে পারবে না। ক্ষুদিরাম বসু ও সূর্যসেনদের যে ইতিহাস সেটা কেউ বিকৃত করতে পারবে না। কিন্তু বাংলাদেশের ক্রসফায়ারের গল্প, আয়নাঘরের গল্প; এগুলো কালের পরিক্রমায় বিকৃত হয়ে যেতে পারে। কারণ, এখনকার লেখকরা প্রেমের কবিতা লিখলেও এসব নিয়ে কবিতা লেখেন না। শুধু লিখলেই লেখক হওয়া যায় না। একপেশে হয়ে কিংবা পুরস্কার পাওয়ার আশায় লিখে থাকেন অনেক লেখক। সমাজ ও রাষ্ট্রের লেখকদের প্রতি দায় আছে। এ সময় ভিসি অনুষ্ঠানের সার্বিক সফলতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে আলোচকের বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক প্রফেসর ড. হায়াত হোসেন, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আবুল কাসেম ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. আনোয়ারুল হক।
চবি লেখক পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. ওবায়দুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন চবি লেখক পরিষদের নির্বাহী পরিচালক রাশেদ রউফ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আয়েশা হক শিমু। অনুষ্ঠানে লেখক পরিষদের সদস্যবৃন্দ, শিক্ষক সমাজ, লেখক সমাজ ও সুধীবৃন্দসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।



