রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওএমআর ব্যালট পদ্ধতিতে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি অ্যাকাডেমিক ভবনে স্থাপিত ১৭টি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ চলছে। যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
শিক্ষার্থীরা সকাল থেকেই তাদের নির্দিষ্ট ভোটকেন্দ্রে এসে জড়ো হচ্ছেন। ভোটগ্রহণের সময় হওয়ার আগেই তারা লাইনে দাঁড়িয়ে যান। সর্বশেষ ১৯৮৯ সালে রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ৩ যুগ পর নির্বাচন হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও রয়েছে কঠোর অবস্থানে। প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে শিক্ষক, কর্মচারী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিএনসিসি, প্রক্টরিয়াল টিম দায়িত্ব পালন করছে।
গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মমতাজউদ্দিন অ্যাকাডেমিক ভবন, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ কলাভবন, সৈয়দ ইসমাঈল হোসেন সিরাজী ভবন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অ্যাকাডেমিক ভবন, জাবির ইবনে হাইয়ান অ্যাকাডেমিক ভবন, জামাল নজরুল ইসলাম অ্যাকাডেমিক ভবন, সত্যেন্দ্রনাথ বসু অ্যাকাডেমিক ভবন, জগদীশচন্দ্র অ্যাকাডেমিক ভবনে দু’টি করে কেন্দ্রে এবং জুবেরী ভবনের একটি কেন্দ্রসহ মোট ১৭টি কেন্দ্রে ৯৯০টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।
এবার রাকসুতে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির সমর্থিতসহ মোট ১১টি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনে ২৩টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৪৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ভিপি পদে ১৮, জিএস পদে ১৩ এবং এজিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৬ জন। এ ছাড়া বাকি ২০টি পদে ২০০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের পাঁচটি পদে ৫৮ জন প্রার্থী এবং হল সংসদ নির্বাচনের ১৫টি পদের বিপরীতে ১৭টি হলে মোট ৫৯৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রাকসু ও সিনেট নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ এবং পুরুষ ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৬ জন।
নির্বাচন শেষে সর্বোচ্চ ১৭ ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।